মুন্সিগঞ্জ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, জুয়েল দেওয়ান, গজারিয়া (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনে মহাল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনের আঞ্চলিক সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন নয়ানগর ও বালুচর গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ।
জানা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর ও বালুচর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালু মহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। বালুমহালটির ইজারা পেয়েছে আদন ড্রেজিং লিমিটেড।মহালটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো.আমিনুল ইসলাম জসিম।
মানববন্ধনে স্থানীয়দের অভিযোগ ইজারার শর্ত অনুযায়ী নদীর পাড় থেকে ১৫০০ ফিট গভীরে গিয়ে বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও বালু বেশি পাবার আসায় অবৈধ ভাবে নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে তারা ভোর বেলা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করচ্ছে। ফলে উল্লেখিত গ্রামের একটি মসজিদ ও বসত ঘর ও ফসলি জমি গুলো ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই এলাকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে বালু মহাল বন্ধের দাবি জানান তারা।
বিষয়টি সম্পর্কে বালুমহালটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম জসিমের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, এটি সরকার অনুমোদিত একটি বালুমহাল। তারা যদি নিয়ম মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে আমাদের বলার কিছু নাই। তবে তারা যদি নিয়ম অমান্য করে নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন তবে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত; গজারিয়া উপজেলার ষোলআনী, নয়ানগর রমজানবেগ ও চর কালীপুরা মৌজায় মেঘনা নদীর ১২৮ একর এলাকায় বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। চলতি বছর ২১ কোটি টাকায় বালুমহালটির ইজারা পায় আদন ড্রেজিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্যাট-ট্যাক্স সহ ২৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে তারা বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। নদীর তীর থেকে ১৫০০ ফুট দূরত্ব মেনে বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও স্থানীয়দের অভিযোগ প্রথম থেকেই ইজারাদার প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সীমানার বাহিরে গিয়ে নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করছে।