২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | বিকাল ৫:০৬
মুন্সিগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১০ মে ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে ৫বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে হলেও সেই প্রবাসী স্বামী রেখে নতুন পরকীয়া প্রেমিকার হাত ধরে লাপাত্তা হয়েছেন এক গৃহবধূ। ভুক্তভোগী স্বামীর অভিযোগ- ২০ লাখ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩ টি এন্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে পালিয়েছেন সানজানা আক্তার (২০) নামের ওই নারী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সদরের বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের রামশিং এলাকার হারুন মোল্লার মেয়ে সানজানা আক্তার টংগিবাড়ী উপজেলার সোনারং-টংগিবাড়ী ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামে তার নানা বাড়িতে থাকতেন। সেসময় ওই এলাকার ছোরহাব শেখের পুত্র সোহাগ শেখের (২৫) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ৫ বছরের বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে এই সম্পর্ক ছিলো।

গত ৩ বছর আগে সোহাগ শেখ প্রবাস যাপনে ইরাক চলে গেলে সানজানা বিয়ের জন্য সোহাগকে চাপ প্রয়োগ করেন। পরে সোহাগ তার বাবা-মা’কে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে দুই পরিবারের সম্মতিতে মোবাইলের মাধ্যমে তাদের কাবিন নামার মাধ্যমে বিয়ে হয়।

এর পর থেকে সোহাগ তার বাবা-মা’র সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে অর্জিত সকল টাকা স্ত্রী সানজানা ও শশুর বাড়ির লোকজনের কাছে পাঠাতেন। গত ১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ সানজানা তার স্বামী সোহাগের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

পরে ১৪ এপ্রিল সোহাগের শাশুড়ী সোহাগের বাবাকে ফোনে জানান, সানজানাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এ খবর শুনে সোহাগের বাবা সানজানাদের বাসায় খোজ নিয়ে জানতে পারেন সানজানা অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। এরপর সোহাগের শাশুড়ী শাহানা বেগম স্বীকার করেন সানজানা রামশিং গ্রামের নিবির নামের পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছেন।

সানজানার স্বামী ইরাক প্রবাসী সোহাগ শেখ মোবাইল ফোনে বলেন, সানজানার সাথে আমার ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। আমি ইরাক আসার পর থেকেই বিয়ের জন্য সানজানা আমাকে চাপ দিতে থাকে। পরে আমার বাবা মাকে সানজানার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে বললে প্রথমে তারা রাজি ছিলেন না। পরে আমার আত্মীয়-স্বজন কে ম্যানেজ করে বাবা মা কে রাজি করাই। এরপর মোবাইলের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের কাবিন হয়। কাবিনের পর থেকে আমার স্ত্রী আমার বাবা-মা আত্বীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে বলে। টাকা পয়সা সব তার কাছে পাঠাতে বলে। আমি তার প্রেমে এতটাই আসক্ত ছিলাম আমার উপার্জিত প্রায় ২০ লাখ টাকা সব তার কাছেই পাঠাই। এছাড়াও কাউকে না জানিয়ে ২ ভরি স্বর্ণালংকার এবং মোবাইল কিনে দেই। আমার নানা শশুর শাহজাহান শেখ, মামা শশুর শাকিল, খালা শাশুড়ী শম্পা, পাখি,মুক্তা, আমার স্ত্রীর বোন সামান্তা, শাশুড়ী শাহানা বেগম আমার কাছ থেকে বিকাশ, জনতা ব্যাংক, পুবালি ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা নিয়েছে। কখনো তাদের কিছু বলিনি আমার স্ত্রীর কথা চিন্তা করে। এতকিছুর পরেও কাউকে কিছু বলিনি যদি সে তার ভুল বুজতে পেরে আবার চলে আসে কিন্তু তার মন এতো পাষাণ সে আর ফিরলো না।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমি সানজানার সাথে ৮ বছর ধরে প্রেম করেছি সে আগেও আমাকে ফুসলিয়ে অনেক টাকা নিছে। আমি আমার সব টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার ফেরত চাই।

এ বিষয়ে গৃহবধূ সানজানা আক্তারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা পলায়নের বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন।

error: দুঃখিত!