৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | সন্ধ্যা ৭:১৬
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দিতে অবাঁধে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ!
খবরটি শেয়ার করুন:

ইলিশ সংরক্ষনের জন্য সরকার ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর ১৫ দিন দেশে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ করে সরকার।

কিন্তু শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের সরকার নিয়ন্ত্রিত ফেরিগুলোতেই অবাধে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ ও মাছের ডিম। শুধু ফেরিই নয় এ রুটের লঞ্চগুলো মহোৎসব আকারে ও উভয় পাড়ের কিছু দোকানে অবাধে চলছে ইলিশ মাছ বিক্রি।

ফেরি বা লঞ্চে কাওড়াকান্দিঘাটে প্রশাসন দু একটি অভিযান চালালেও থামেনি মাছ বিক্রি, প্রশাসনের ও নেই কোন তৎপরতা। ফলে সরকারের গৃহিত উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন একাধিক সূত্রে জানা যায়, ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির মৌশুম এখন। সুস্বাদু ইলিশ সংরক্ষনের জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর ১৫ দিন দেশে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন, মজুদ নিষিদ্ধ করে সরকার।

কিন্তু মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এর পদ্মা নদীতে সার্বক্ষনিক প্রশাসনিক নজরদারি বা কোস্টগার্ড না থাকায় জেলেরা সুযোগ বুঝেই ইলিশ ধরে।

ভাটি এলাকায় প্রশাসন কঠোর থাকায় উজান অর্থ্যাৎ নৌরুট এলাকায় ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর।

শিবচর উপজেলার বাজারগুলোতে প্রশাসনের নজরদারির কারনে ইলিশগুলো কমদামেই মিলছে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দির ফেরি ও লঞ্চগুলোতে। একদিকে সরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রনের লেবাসে বেপরোয়া ফেরির ক্যন্টিন মালিকরা অপরদিকে নদীর বুকে চলাচল করায় তোয়াক্কাও নেই কারোর।

ফলে নিষেধাজ্ঞার এই সময়টাতে পদ্মার বুকের ১৮টি ফেরি ও ৮৭ টি লঞ্চগুলোতেই চলছে ইলিশের রমরমা ব্যবসা। ইলিশ মাছ ভাজার সাথে মিলছে ডিম ভাজা।

রান্না মাছের দাম রাখা হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা পিচ। ঢাকার সাথে স্বল্প দূরত্বের এই নৌরুট দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হয় হাজার হাজার যাত্রী। ফলে ইলিশ মাছ বিক্রিও হয় অনেক বেশি।

সম্প্রতি পদ্মায় অভিযান চালিয়ে দুই জেলেকে ও কাওড়াকান্দিঘাটে রো-রো ফেরি আমানতশাহ ও ডাম্ব ফেরি যমুনা ও একটি লঞ্চকে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করলেও এখনো অবাধে চলছে ইলিশ নিয়ে রমরমা ব্যবসা।

কাওরাকান্দিঘাট এলাকার হোটেল ব্যাবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, এর আগে নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ বিক্রির কারনে জরিমানা দিয়েছি।

তাই এখন নিষেধাজ্ঞার সময়টা মেনে চলি কিন্তু সরকারি ফেরি ও লঞ্চগুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তাদের যেন কেউ দেখছে না।

ঢাকাগামী ফেরির যাত্রী জিয়াসমিন আক্তার বলেন, বাজারে ইলিশ মাছ পাচ্ছি না কিন্তু ফেরিতে উঠে দেখি অবাধে ইলিশ মাছ ও ডিম বিক্রি হচ্ছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাচ্ছি।

লঞ্চ যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, যেভাবে লঞ্চে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে তাতে মনে হয় না সরকার এই সময়ে ইলিশ মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। এদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহমেদ বলেন, আমরা পদ্মা নদীর ফেরি ও লঞ্চে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছি ও মাছগুলো বিনষ্ঠ করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।

এই বিভাগের সর্বশেষ
ফেইসবুকে আমরা
ইউটিউবে আমরা
error: দুঃখিত!