দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানে আজ সোমবার ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশেও ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে হওয়ায় দেশটিতে ও পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এ দুটি দেশে এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ২৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে হিন্দুকুশ অঞ্চলের ২১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। এটির স্থায়ীত্ব ছিল প্রায় ৪০ সেকেন্ড। আর বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটা ৯ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে ভূ-কম্পনটি অনুভূত হয়।
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে। দেশটির তাখার প্রদেশের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান জানিয়েছেন, তাখারের তালোকান শহরের একটি বিদ্যালয়ে ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে শ্রেণিকক্ষ থেকে করে বের হতে গিয়ে ১২ ছাত্রী নিহত হয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডন-এর অনলাইন সংস্করণের খবরে জানানো হয়, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে কমপক্ষে ১৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক শ। পাকিস্তানের প্রধান প্রধান নগরীসহ দেশটির উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতে অনেক বাড়িঘর ও ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতের দিল্লি, কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবেও শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর পর লোকজন ভবন ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। ভূমিকম্পের সময় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লির মেট্রো সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভূমিকম্পের কারণে জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে টেলিফোন ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ হয়ে গেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।