মুন্সীগঞ্জ সদরের একটি গ্রামে বসত বাড়িতে ঢুকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক পিয়নের বিরুদ্ধে জরিনা বেগম (৪২) নামে এক গৃহবধুকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় বসত-ঘর ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করা হয়েছে। সদরের মহাকালী ইউনিয়নের বাগেশ্বর গ্রামে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে। গৃহবধু জরিনা ওই গ্রামের ফরহাদ শিকদারের স্ত্রী।
পরদিন রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধু জরিনা বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখার (এম.এলএসএস) পিয়ন আনিসুর রহমান পলাশের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সদর থানার মামলার নম্বর-৪৬, তারিখ- ২৯ সেপ্টেম্বর।
এদিকে, মামলা দায়ের করার পর পুলিশ ঘটনার হোতা আনিসুর পলাশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে রাতের আঁধারে আটক পলাশকে পুলিশ ছেড়ে দিলে গৃহবধূর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকের মধ্যে জীবন-যাপন করছে।
দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে বাগেশ্বর গ্রামের ফরহাদ শিকদারের বসত-ভিটায় জোর পূর্বক প্রবেশ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখার পিয়ন আনিসুর রহমান পলাশ। এ সময় তিনি লাঠিসোটা হাতে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করতে থাকলে ফরহাদ শিকদারের স্ত্রী জরিনা বাঁধা দিতে এগিয়ে যায়। এতে পলাশ লাঠিসোটা দ্বারা জরিনাকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে জরিনাকে শ্লীলতাহানি করে বলে ওই পিয়নের বিরুদ্ধে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই মো. হাসান জামিল খানঁ জানান, আসামী আনিসুর রহমান পলাশ জামিন পেয়েছে।
মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া বেপারী জানান, আসামি পলাশকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর থানায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে ওসি সাহেব পরদিন থানায় হাজির হওয়ার শর্তে তাকে চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দেন।
সুত্র- মুন্সিগঞ্জ টাইমস