নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের তাতি কান্দি এলাকার সন্তান, মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অনার্সের মেধাবী ছাত্র সোহাগ মাহমুদ (২০) কে গাড়িতে করে লিবিয়া নিয়ে যাওয়ার পথে গাদাগাদিতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে নির্মম মৃত্যুর প্রত্যোক্ষভাবে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রতারক আদম ব্যাবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবিতে মুন্সীগঞ্জ শহরে মানববন্ধন হয়েছে আজ।
আজ১৮আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা’র দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমি’র সামনে ‘ভলান্টেরিজম ফর সেইফ মাইগ্রেশন’ নামের একটি সংগঠন মানববন্ধনটি করে। মানববন্ধনে ‘ভলান্টেরিজম ফর সেইফ মাইগ্রেশন’ এর উদ্যোক্তা অপূ ভুইয়া, সমন্বয়ক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিহাব আহমেদ, স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা ‘আমার বিক্রমপুর ডট কম’ এর প্রতিনিধিরা এবং সরকারি হরগঙ্গা কলেজে সোহাগের সহপাঠীরা ছাড়া্ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহন করে।
উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সোলার চর গ্রামের আদম ব্যবসায়ী লিটন বেপারি ও আবু সুফিয়ান নিহত সোহাগ মাহমুদ সহ একই ইউনিয়নের আরও ২০জনকে লিবিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একইভাবে অবৈধপথে প্রথমে দুবাই ও পরে সুদান হয়ে লিবিয়া পাঠাচ্ছিলো বলে অভিযোগ পরিবারের। এর মধ্যে শুধুমাত্র সোহাগের কাছ থেকেই ঐ দুই আদম ব্যাবসায়ী ৪লাখ টাকা নিয়েছে। এ্রই দুই চক্রের সাথে কুমিল্লা’র ইউসুফ এর নিয়ন্ত্রিত আরও একটি গ্রুপ জড়িত আছে বলে অভিযোগ নিহত সোহাগের মামা বজলু মাহমুদ এর। তবে বাকিরা একপর্যায়ে লিবিয়া পৌছাতে পারলেও পথে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সোহাগের। পরে বাকীদের কাছ থেকেই সোহাগের মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার।
প্রতারক দুই আদম ব্যাবসায়ীর মধ্যে ইউসুফ মূলত পূর্ব থেকেই সুদানে থাকে। বাংলাদেশ থেকে পাঠানো লোকজনকে ইউসুফ সুদানে রিসিভ করে সেখান থেকে আবার লিবিয়া পাঠানোর ব্যাবস্থা করে। আরেক আদম ব্যাবসায়ী মুন্সীগঞ্জের আধারা ইউনিয়নের সোলার চর গ্রামের লিটন বেপারি বর্তমানে পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বজলু মাহমুদ।