আনন্দ ঘন ও উৎসব মূখর পরিবেশে মুন্সিগঞ্জের দুইটি পৌরসভার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা ও মিরকাদিম পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী সহ মোট ১২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় ৬ জন ও মিরকাদিম পৌরসভায় ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
দুটি পৌরসভায় আ’লীগ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীরাও মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
হঠাৎ করে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান আনিসের ছোট ছেলে রাজন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। তবে ভোটারদের মতে, রাজন হচ্ছে ফয়সাল বিপ্লবের ডামি প্রার্থী। ফয়সাল বিপ্লবের মনোনয়ন পত্র টিকে গেলে রাজন তার মনোনয়ন পত্র উঠিয়ে নিবে।
কারণ হচ্ছে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফয়সাল বিপ্লব মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন পত্রে ত্রুটি থাকায় সেই সময় ফয়সাল বিপ্লবের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যায়।
আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রেজাউল ইসলাম সংগ্রাম মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। সংগ্রাম আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি। সে শহর আ’লীগের উপদেষ্ঠা।
অন্যদিকে, আ’লীগের রাজনীতিতে আরিফুর রহমানের কোন পদ পদবী নেই। তবে আগে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন অারিফ।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপি থেকে মিরকাদিম পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন মিরকাদিম পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান খন্দকার মোহাম্মদ রেনু।
মিরকাদিম পৌরসভায় আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মনসুর আহমেদ কালাম। সে জেলা আ’লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক।
নির্বাচন থেকে সরে না দাড়ালে সে দল থেকে বহিস্কার হতে পারেন।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে ফয়সাল বিপ্লব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী) রেজাউল ইসলাম সংগ্রাম ও যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান, খেলাফতের মহিউদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জালাল উদ্দিন রুমি রাজন (জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মহিউদ্দিনের ভাতিজা) মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ।
এছাড়া বিএনপি প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র এ কে এম ইরাদত মানু বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
অপরদিকে মিরকাদিম পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র শহীদুল ইসলাম শাহীন, বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সামছুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মনসুর আহমেদ কালাম, জাতীয় পার্টি জেপি খন্দকার মোহাম্মদ রেনু , ইসলামি আন্দোলনের আব্দুল গফুর মিয়া, জামাল হোসেন জেলা প্রজন্ম লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের জানান, মুন্সীগঞ্জ ও মিরকাদিম এ দুইটি পৌরসভায় মেয়র পদে মোট এ পর্যন্ত ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জ শহরের মেয়র প্রার্থীদের সমর্থকরা পুরাতন কাচারী এলাকায় এবং সুপার মার্কেট এলাকায় দিনব্যাপী জড়ো হয়ে উৎসব মুখর করে তুলে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা।