মুন্সিগঞ্জ ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে আনোয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভবন নির্মাণের সময়সীমা গত মে মাসে সমাপ্তির কথা থাকলেও কাজে নেই কোন অগ্রগতি। অন্যদিকে প্রায় দেড় বছর যাবত ভবন সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে একটি ছাপড়া টিনের একচালার নিচে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। এমনই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এতে করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেকাংশে কমতে শুরু করেছে।
শ্রীনগরে আনোয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভবন নির্মাণের সময়সীমা গত মে মাসে সমাপ্তির কথা থাকলেও কাজে নেই কোন অগ্রগতি। অন্যদিকে প্রায় দেড় বছর যাবত ভবন সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে একটি ছাপড়া টিনের একচালার নিচে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। এমনই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এতে করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেকাংশে কমতে শুরু করেছে।
শ্রীনগরে আনোয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভবন নির্মাণের সময়সীমা গত মে মাসে সমাপ্তির কথা থাকলেও কাজে নেই কোন অগ্রগতি। অন্যদিকে প্রায় দেড় বছর যাবত ভবন সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে একটি ছাপড়া টিনের একচালার নিচে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। এমনই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এতে করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেকাংশে কমতে শুরু করেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখোলা গ্রামে অবস্থিত আনোয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির জরজীর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয় নতুন ভবন নির্মাণ কাজের জন্য। বিকল্পভাবে বিদ্যালয়ে পাঠদানে ছোট্ট একটি একচালা টিনের ছাপড়া বানিয়ে গাদাগাদিভাবে বসিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ফুটাফাটা সাপটা টিনের বেড়া ও ভাঙ্গা চালা দিয়ে পানি পড়ে বেহাল হয়ে পড়ে। ওই ঘরে নেই কোন বিদ্যুত ব্যবস্থা। পাশের একটি মসজিদের বারান্দায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বসে তাদের বিদ্যালয়ের কাজকর্ম পরিচালনা করছেন। শ্রেণীকক্ষ সঙ্কট ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাবে দুই ভাগে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিদ্যালয়ের এমন বেহাল দৃশ্য দেখে মনে হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবেই এমনটা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১২২ জন। শিক্ষক সংখ্যা সর্বমোট ৩ জন। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন খান ব্যবসাজনিত কারণে ঢাকায় বসবাস করেন।
স্থানীয়রা বলেন, ঠিকাদার আলী আকবর সিকদার যুবলীগ নেতা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছেন। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ভবনের সামান্য কয়েকটি পিলার কাজের পর এভাবে ফেলে রাখলেও এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তাকে বলার কেউ নেই।
আনোয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা আক্তার বলেন, আমি এখানে গত ২০১৮ সালের জুলাইতে এসেছি। আসার পর থেকেই এভাবে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। প্রচন্ড গরম ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদিভাবে বসাতে হচ্ছে। শিক্ষকদের কোন বসার স্থান ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নেই। নতুন ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি না থাকায় একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে গিয়েছি। কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমাও চলে গেছে। এ কারণে আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান এ বিষয়ে জানান, কাজে অগ্রগতি না থাকায় উর্ধতন কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে গেছেন।