মুন্সিগঞ্জ, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ শহরের ইদ্রাকপুরে শোয়ার ঘরে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ বৃদ্ধা সাহিদা খাতুন (৫৫) মারা গেছেন।
রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে মৃত্যু হয় সাহিদার। সেখানে আরও ভর্তি আছে তাঁর ছেলে, ছেলের বউ ও ৩ বছরের নাতি।
শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদরের ইদ্রাকপুর থানা কাউন্সিল মোড়ে আকবর আলী বেপারির ৫ম তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘরে অবস্থান করা সকলে দগ্ধ হন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সর্বমোট ৪ জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান।
দগ্ধরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার রিজভি আহমেদ রাসেল (৩৫), তার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩১), ছেলে রায়হান (৩) ও মা সাহিদা খাতুন (৫৫)। এদের মধ্যে সাহিদা খাতুন মারা গেছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, সাহিদা খাতুনের ৯৫ শতাংশ ফেস বার্ন, তাঁর ছেলে রিজভী আহমেদের ১০ শতাংশ ফেস বার্ন, ছেলের স্ত্রী রোজিনা আক্তারের ১২ শতাংশ ফেস বার্ন ও নাতি শিশু রাইয়ানের ৮ শতাংশ ফেস বার্ন হয়েছে।
ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে জরুরী বিভাগের অবজারভেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান সাহিদা খাতুন। বাকিরা বর্তমানে জরুরী বিভাগের অবজারভেশনে আছেন।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা বড় ভাই রাজীব আহমেদ বলেন, আমার ছোট ভাই রিজভী আহমেদ মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের নারী নির্যাতন সেলের প্রোগ্রাম অফিসার ছিলেন। মাত্র সাত দিন আগে তাঁরা নতুন ফ্ল্যাটে ভাড়া এসেছে। আজ ফজরের দিকে আমার বাবা নামাজ পড়ে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এমন সময় তিনি লোকমুখে শুনতে পান আমার ছোট ভাইয়ের বাসায় নাকি বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই ফ্ল্যাটটিতে আগুন ধরেছে।
তখন তিনি বাসায় এসে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সংবাদ দেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও আশপাশের লোকজন দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সকালের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।