মুন্সিগঞ্জ, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা ফুচকার দোকানের টকে তেতুলের নামে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক সাইট্রিক এসিড মেশানোয় বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার নয়ানন্দ বাজারে এই অভিযান চালায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ফুচকা পরিবেশন ও চটপটি তৈরিতে দেওয়া হয় সাইট্রিক এসিড, টেস্টিং সল্ট এবং বিট লবন। সাইট্রিক এসিট ব্যবহার হয় টক তৈরিতে। কারণ তেঁতুল দিয়ে টক তৈরিতে খরচ বেশি হয়। টাকা বাঁচাতে ব্যবহার করা হয় সাইট্রিক এসিড। স্বাদ বাড়ানোর জন্য দেওয়া হয় টেস্টিং সল্ট ও বিট লবন। ফুচকা-চটপটিতে টেস্টিং সল্ট দিলে এক ধরণের ঝাঁঝালো স্বাদ হয়। যার ফলে কাস্টমারদের কাছে কদর বেড়ে যায়।
খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে সাইট্রিক এসিড থেকে তৈরি রঙহীন লবন ও টক স্বাদের এ রাসায়নিক ব্যবহারে মানুষের হৃদরোগ, লিভার সিরোসিস, কিডনি সমস্যা, এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে । সবকিছু জেনেশুনে তা ব্যবহারের মাধ্যমে সামান্য লাভের জন্য শত শত গ্রাহককে মৃত্যুর পথে ধাবিত করছেন মুন্সিগঞ্জের অধিকাংশ চটপটি ও ফুচকা ব্যবসায়ী।
এসময় আড়িয়ল বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্য প্রদর্শন করায় আল আমিন মেডিকেল ও এম আর পি বিহীন ওষুধ বিক্রি করায় ন্যাশনাল ড্রাগ হাউজকে যথাক্রমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ও ৩৭ ধারায় পাচ হাজার টাকা ও এক হাজার টাকা করে সর্বমোট ছয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সিগঞ্জের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ এই বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সিগঞ্জের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, টংগিবাড়ী বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা গাভীর দুধ ল্যাক্টোমিটার দিয়ে বিশুদ্ধতা পরিমাপ করা হয় এবং দুধে পানি না মিশাতে বিক্রেতাদের নির্দেশ দেয়া হয়।