মুন্সিগঞ্জ, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ভ্যানে সন্তান প্রসব করেছেন এক নারী। এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পার্শ্ববর্তী আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলেও তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
বর্তমানে নবজাতক ছেলে ও তার মা সুস্থ রয়েছে। তবে শিশুটির ওজন কম হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
জানা যায়, ভবেরচর হাসপাতাল রোড এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুপালি আক্তার (২৫) সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে তার প্রসব ব্যথা উঠলে সকাল ১০টার দিকে তাকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়। গর্ভের সন্তানের ওজন কম এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় ঢাকার কোনো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পরে ওই নারীর স্বজনরা তাকে ঢাকায় না নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে হালিমা নুরুল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভ্যানে করে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষমাণ থাকা অবস্থায় ভ্যানের ওপরে সন্তান প্রসব হয় রুপালীর।
রুপালীর বড় ভাই সজিব বলেন, ‘হাসপাতালের সামনে বাচ্চা হলো। অথচ ভেতর থেকে কোনো ডাক্তার, নার্স এগিয়ে আসলো না। উনারা আমাদের রোগীকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছিলেন, কিন্তু সেই সময়টুকু আমরা পাইনি।’
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নুসরাত জাহান বলেন, ‘সকালে প্রসূতিকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উনার সর্বশেষ আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ১ হাজার ৩৫০ গ্রামের মতো। এত কম ওজনের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্মের পর এনআইসিইউ সাপোর্ট দেওয়া লাগতে পারে। আমরা রোগীকে এনআইসিইউ সুবিধা আছে, এমন কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
‘পরবর্তীতে শুনতে পাই, উনারা একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ হাসপাতালের সামনে তার বাচ্চা প্রসব হয়। আপাতত মা ও বাচ্চা সুস্থ থাকলেও বাচ্চাটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ রাখতে হবে।’