১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ১২:৪৬
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে চালু হতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান প্রযুক্তিতে ইট তৈরির কারখানা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

বাংলাদেশে এই প্রথম ইউরোপ ও জাপানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ব্রিক (ইট) তৈরির কারখানা গড়ে উঠছে মুন্সিগঞ্জে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের পশ্চিম কয়রাখোলা গ্রামের ধলেশ্বরী নদীর তীরে ‘ইকো সিরামিকস’ নামে কারখানাটি প্রস্তুতের কাজ চলছে।

ইকো সিরামিকস কারখানাটি ক্রাউন সিমেন্ট ও জিপিএইচ ইস্পাত গ্রুপের আরেকটি প্রতিষ্ঠান।

আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই কারখানা থেকে ইট উৎপাদন হবে।

ইউরোপের সর্বশেষ ট্যানেল ক্লিন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এই ইট তৈরিতে। পরিবেশ বান্ধব এই কারখানাটি চালু হলে বাংলাদেশের সিরামিক শিল্পে ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
২৫ একর জমির ওপর গড়ে উঠছে ইকো সিরামিক কারখানাটি।

এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। দৈনিক ২ লাখ পিস ইট তৈরি হবে এই সিরামিক কারখানাটিতে। জার্মানি প্রযুক্তি আর ইতালি, চীন ও জাপানের মেশিনারিজ সংযুক্ত হচ্ছে কারখানাটিতে। ইটের সাইজ হবে সলিড ও হলো ব্লকে। ৩-৪ শ’ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে কারখানাটিতে। এ ছাড়াও, বাইরের অনেক লোকের কর্মসংস্থানসহ সারা দেশে ডিলার এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সুযোগ থাকছে এই শিল্পের সঙ্গে। এরই মধ্যে আশপাশের কিছু লোকজনেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। দুইজন চাইনিজ টেকনেশিয়ান আনা হয়েছে। এই দেশে টেকনেশিয়ানের অভাব থাকায় প্রজেক্ট চালু হওয়ার পর চাইনিজরা নিয়োগপ্রাপ্তদের দক্ষ করে গড়ে তুলবেন-এই চুক্তি রয়েছে কোম্পানির সঙ্গে।

ইকো সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জাতিকে আমরা একটি টেকসই অবকাঠামো দিতে চাচ্ছি। এই কারখানাটি চালু হওয়ার পর জাতিকে ভালোমানের গুণগত মান সম্পন্ন একটি ব্রিক দিতে পারবো। ইউরোপের সর্বশেষ ট্যানেল ক্লিন প্রযুক্তি দিয়ে এই ইট তৈরি হবে।
ইকো সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আরেক পরিচালক আবদুল আহাদ জানান, ইউরোপ, জাপান ও পাশাপাশি চায়না প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই মডার্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ইটের কোয়ালিটি ও গুণগতমান ব্যবহারকারীদের নিশ্চিত করতে পারবো। এটা কি মানে হচ্ছে-সে ইটের মান নিশ্চিত করার জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে টেকনেশিয়ানদের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন থেকে শুরু করে মেশিনারিজসহ সব কিছু চেক করার জন্য আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত যতটুকু কাজ এগিয়েছে তা তাদের নিয়ন্ত্রণেই হয়েছে। বাংলাদেশ সিরামিক শিল্পে বলা যায়-এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

পরিবেশ বান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সুলভমূল্যে ভালোমানের ইট উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ইকো সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য, দেশকে সমৃদ্ধশালী এবং দেশের অর্থকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য উন্নতমানের প্রযুক্তিতে তারা হলো ব্লক তৈরি করবেন। এখানে বিশ্বমানের প্রডাক্ট পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০-১৪৫ কোটি টাকা।

মুন্সিগঞ্জ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক জুলিয়া জেসমিন বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলায় দেশের সর্বপ্রথম একটি ব্রিক কারখানা স্থাপন হতে যাচ্ছে। এটি পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী। এই ধারা অব্যাহত থাকলে পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কমে যাবে এবং ইটভাটার কারণে যে পরিবেশ দূষণে এতোদিন সমস্যা ছিল-সেটা দূরীভূত হবে।

error: দুঃখিত!