মুন্সিগঞ্জ, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বাধাহীনভাবে ফেলা হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ও বেসরকারি হাসপাতালের ময়লা-আবর্জনা। যার ফলে মহাসড়ক সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।
দিনের পর দিন ময়লার স্তুপ বড় হচ্ছে। তবে তা বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেই। উল্টো অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রভাবশালী আর সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই ফেলা হচ্ছে এসব ময়লা আবর্জনা।
এ দৃশ্য উপজেলার ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লাগামী লেনে মোহাম্মদ আলী প্লাজার পশ্চিম পার্শ্বে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের সামনের।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় মহাসড়ক সংলগ্ন স্মৃতিস্তম্ভের পাশেই রেস্টুরেন্টের খাবারের উচ্ছিষ্ট, ব্যবহৃত টয়লেট টিস্যু, মেডিকেলেল বর্জ্যসহ বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যে গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্থানীয় একাধিক রেস্টুরেন্ট, বেসরকারি ক্লিনিক ও আশপাশের দোকান পাটের বিভিন্ন বর্জ্য নির্বিঘ্নে এখানে ফেলা হচ্ছে। পরিবেশের তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশিমতো মহাসড়ক ঘেঁষেই ফেলা হচ্ছে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, কার্টন, কাগজ, পলিথিন ,বস্তা, উচ্ছিষ্ট খাবার, রক্তমাখা ব্যান্ডেজ, ব্যবহৃত সূঁচ, সিরিঞ্জ, রক্ত ও পুঁজযুক্ত তুলা, গজ, ওষুধের শিশি, ব্যবহৃত স্যালাইন, রক্তের ব্যাগসহ সর্বপ্রকার চিকিৎসাজাত ময়লা-আবর্জনা। কখনো কখনো ফেলে যাওয়া বর্জ্য এসে পড়ছে মহাসড়কের ওপর।
ময়লা ফেলতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, দিন আর রাত নাই। যখন সময় পাই তখনই ফেলি। কেউ বাধা দেয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি জায়গায় ময়লা ফেললে কে বাধা দেবে?
সেখানে কথা হয় পথচারী এক কারখানার শ্রমিক হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, স্থানীয় রেস্টুরেন্ট মালিকরা সবাইকে ম্যানেজ করে ময়লা ফেলে। তাই দ্বায়িত্বশীলরা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়।
এ সময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক নারী দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে জানান, এই পথে সারাক্ষণই আসে দুর্গন্ধ। হেঁটে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসে। সড়কের পাশে হাঁটার জায়গায়ও ময়লা ফেলে দখল করে নেয়া হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ফারহানা আক্তার বলেন, বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা উপজেলা প্রশাসন দেখতে পারে তারপরও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিষয়টি আমিও দেখবো।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বলেন, এ বিষয়ে আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করবো। সেই সাথে এই স্থানটি পরিস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।