১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ৮:৪৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
করোনা: মুন্সিগঞ্জে ক্যাপসিকাম চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত তরুণ উদ্যোক্তারা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১ মে, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

করোনার মহা দুর্যোগ ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কলেজ পড়ুয়া তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে।

রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজে অধ্যয়নরত সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর পানিয়া গ্রামের কয়েকজন তরুন মিলে নব্বই শতাংশ জমিতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করে চাষ করেন বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম।

প্রায় তিন মাস নিবিড় পরিচর্যায় বিক্রি উপযুক্ত হলে কয়েক দফা কাওরান বাজার নিয়ে আড়াই শত টাকা কেজি ধরে বিক্রিও করেন তারা।

কিন্তু করোনার আকস্মিক মহামারীতে তরুণ এই চাষিদের রোপণ করা বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম এখন জমিতেই পচে যাচ্ছে।

সারা দেশে লকডাউনে যানবাহন ও শ্যাম বাজার এবং কাওরান বাজার বন্ধ থাকায় বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম অবিক্রিত অবস্থায় অবশেষে জমিতেই পঁচে গলে শেষ হচ্ছে কলেজ পড়ুয়া তরুণ এই ছাত্রদের অনাগত ভবিষ্যৎ স্বপ্ন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের ছাত্র শাহরিয়ার তানভীর রিফাত জানান, করোনার কারণে লকডাউনের আগে থেকেই হঠাৎ বেচাবিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম ঠিকঠাক মতো যেমন চাষ করেছিলাম তেমন ব্যাপক ফলনও হয়েছিলো। যদি দাম ঠিক থাকতো তাহলে আমাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হতোনা। প্রতি বিঘা বিদেশি সবজি এই ক্যাপসিকাম রোপণ করতে আমাদের খরচ গেছে ১ লাখ টাকার উপরে যদি করোনার প্রভাব না পড়তো তাহলে প্রতি বিঘাতেই খরচ বাদ দিয়ে লাভবান হতাম এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। এখন যেই জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছি সেটা পরিস্কার করতে আরো খরচ যাবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা অতএব আমরা ছত্র হয়ে কৃষি নিয়ে যে পথচলা শুরু করেছিলাম সেটা সূচনালগ্নেই ভেস্তে গেলো। আমরা তিন বিঘা জমিতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকারও বেশী লোকসানে পরলাম।

কলেজের ছাত্র রায়হান বলেন, টিভিতে প্রায়ই কৃষি বিষয়ক প্রোগ্রাম দেখে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম নিয়ে কাজ করার আগ্রহ জাগে সেই সাথে স্থানীয় কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করে আমরা মোটামুটি ভালোই করেছিলাম। প্রথমে আমরা বীজ রোপণ করলে সেটা চাড়ায় রূপান্তর হয়নি পরে আমরা যশোর ও বগুড়া থেকে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের চারা এনে রোপণ করি। বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম একবার হয়ে গেলে প্রায় ছয়মাস পর্যন্ত ফলন দেয়। আমাদের এখানকার মাটি ও আবহাওয়া ক্যাপসিকাম চাষের উপযোগী হওয়ায় সহজেই এ চাষে সাফল্য পেয়েছিলাম অল্প খরচে লাভজনক হওয়ার স্বপ্নও দেখেছিলাম কিন্ত মহামারী করোনা সব শেষ করে দিলো।

উপজেলা কৃষি অফিসার সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন,আমরা ইতোমধ্যে কৃষি অফিস থেকে তাদের আশ্বাস দিয়েছি যে তারা সরকারী প্রণোদনা পাবে, সেই সাথে বলেছি স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখে যাতে প্রণোদনা দেওয়ার সময় তাদের নাম সরকারের আওতাধীন থাকে।

error: দুঃখিত!