মুন্সিগঞ্জ, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও শ্রীনগর এলাকার আড়িয়াল বিল সহ বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে বিনিয়োগ ছাড়াই প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার শাপলা যাচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন কম স্রোতের জলাশয় ও বিলে জলজ উদ্ভিদ শাপলার জন্ম হয়।
বিনা পূজিতে কৃষক এসব শাপলা পানি থেকে তুলে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেন। প্রতিদিন ভোর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ে শাপলা তুলতে দেখা যায়। তবে আড়িয়াল বিলের শাপলার আলাদা ঐতিহ্য ও চাহিদা রয়েছে। বিকেলের পর পর পাইকাররা এসব শাপলা কৃষকদের কাছ থেকে কিনে ঢাকার বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। পাশাপাশি নানা এলাকা থেকে দর্শনার্থীরাও ভিড় করছেন শাপলার বিলে।
বর্ষা মৌসুমে মুন্সিগঞ্জের এই অঞ্চলের কয়েকশত মানুষ শাপলা বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্ব৷হ করেন। এতে প্রতি মৌসুমে তাদের লাখ টাকার উপরে আয় হয়।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানালেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের এক ফসলি জমিগুলো পানির নিচে ডুবে যায়। সেখানেই প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় শাপলা ফুল। এই ফুলগুলো সবজি হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন হাটে বিক্রি হয়। স্থানীয় বাজারগুলোতেও এই শাপলা বিক্রি হয়। বিল পাড়ের বেকার যুবকরাও শাপলা তুলে সংসার চালাচ্ছেন। তারা জানান, বিলে যতদিন পানি থাকে ততদিনেই শাপলা পাওয়া যায়।
শাপলা মুলত এক ধরনের ফুল। ভারতীয় উপ মহাদেশের হাওড়-বিল ও দিঘিতে প্রচুর পরিমাণে এই ফুল ফুটতে দেখা যায়। থাইল্যান্ড ও মায়ানমারে এই ফুল পুকুর ও বাগান সাজাতে এমনকি অ্যাকোরিয়ামে রাখার জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। এছাড়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় ফুল শাপলা।
শাপলা ফুল ভোর বেলা ফোটে এবং দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে পাঁপড়ি বুজে যায়। প্রাচীন যুগ থেকেই বিভিন্ন জাতীর পার্থনা বা সাজানোর কাজে ব্যবহার হলেও বাংলাদেশে সবজি হিসেবে শাপলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এই ফুল বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও শ্রীণগর উপজেলার কয়েকশত কৃষক।