নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তারপুর সেতুর টোল প্লাজায় হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ১০-১২ জন দুস্কৃতকারীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজন চন্দ্র বিশ্বাসের দায়ের করা এ মামলাটি মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। রাতেই মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়েছে মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোশারফ হোসেনকে। টোল প্লাজায় হামলায় ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১ টা পর্যন্ত কোন অগ্রগতি নেই। সনাক্ত হয়নি হামলায় ব্যবহ্নত মাইক্রেবাসটিও (ঢাকা মেট্রো চ ১১-০৪৫৪)।
এদিকে, টোল প্লাজায় হামলায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল নষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়েছে। ঈদের আগে দিন গত ১৭ জুলাই রাতে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কের (ষষ্ঠ চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু) মুক্তারপুর সেতু টোল প্লাজায় মাইক্রেবাসের টোল চাওয়ায় সন্ত্রাসীরা এ হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এ সময় সন্ত্রাসীরা টোল আদায়কারী মো. মিজানুর রহমান (২০)-কে মারধর করে। তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। হামলাকারীরা একজন প্রভাবশালী নেতার লোক বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
জানা যায়, গত ১৭ ই জুলাই দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জগামী একটি মাইক্রোবাস মুক্তারপুর সেতুর টোল প্লাজায় আসে। এ সময় টোল না দিয়ে গাড়িটি যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে টোল আদায়কারীরা গাড়িটি যেতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে গাড়িতে থাকা লোকজনের সাথে টোল আদায়কারীদের কথা কাটাকাটি হয়। প্রবল বাঁধার মুখে তারা টোল দিতে বাধ্য হয়। টোল দিয়ে চলে যাওয়ার পথে তারা নানা ধরণের হুমকি দেয়। গাড়িতে চালকসহ ২ জন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন। ঘটনার ৪০ মিনিট পর সেই গাড়িটি আবার টোল প্লাজায় ফিরে আসে। এ সময় গাড়ি থেকে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী নেমে টোল প্লাজার ৩ নম্বর কাউন্টারে হামলা চালায়। এ সময় টোল বুথের জানালার কাঁচ, ডিজিটাল (কম্পিউটারাইজড সিস্টেম) পদ্ধতি, ক্যাশ বাক্স ভাঙচুর ও বাক্সে রক্ষিত ১৭৯০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোশারফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে মামলার কপি হাতে পেয়েছি। তদন্তকাজ শুরু হচ্ছে।