চলতি বর্ষায় ভাঙনের কারণে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইশমানিরচর গ্রামসংলগ্ন মেঘনা পাড়ের বাসিন্দারা এখন দিশেহারা। বাপ-দাদার ভিটেমাটি যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে- এরকমই আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটছে তাদের।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করে। এ বছর মেঘনা যেন আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। অনবরত ভেঙে নিয়ে চলেছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি।
এখানকার বাসিন্দারা ভাঙন-আতঙ্কে রাতের ঘুম হারাম করে বসে থাকেন। নিজ উদ্যোগে ভাঙন প্রতিরোধে কিছু ব্যবস্থা নিলেও সরকারি কোনো তৎপরতা না থাকায় কোনোভাবেই ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ৩-৪ বছর আগে এখানে জরিপ করে গেলেও আজো পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গ্রামবাসীদের দাবি মেঘনার পাড় ঘেষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন বেড়ে গেছে। মেঘনার ভাঙনের কারণ হিসেবে অবৈধ বালু উত্তোলন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন এখানকার বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে কয়েক দফা পানি উন্নয়ন বোর্ড মুন্সীগঞ্জ কার্যালয়ে গিয়েও কোনো কর্মকর্তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এখানকার অফিস সহকারী জানান, অতি দ্রুত ভাঙন রোধ না করতে পারলে যে কোনো সময় বিলিন হয়ে যেতে পারে গ্রামগুলো। দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে গজারিয়ার হোসেন্দি ইউনিয়নের ইশমানিরচর গ্রাম ও এর সংলগ্ন আরো কয়েকটি নদীতীরবর্তী এলাকা।