মতিউর রহমান ওরফে মতি। ২৫ বছর বয়সী এ যুবকের সঙ্গে প্রেমে জড়ায় নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কিশোরী। কিন্তু তার মতলব বুঝে উঠতে পারেনি সে। ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে রোববার সন্ধ্যায় তারা দু’জন বের হয় পাশের এলাকার এক নির্জন বাগানে। সেখানে কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়ার পর সন্ধ্যা নেমে এলে প্রেমিকের সহযোগিতায় আরও তিন বন্ধু মিলে তাকে রাতভর গণধর্ষণ করে। পরে ওই স্কুলছাত্রী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়ে ধর্ষকরা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রাম। পরে সোমবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। বিকেলে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষিতাকে থানায় নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানায়, কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান ওরফে মতির সঙ্গে কিছুদিন ধরে একই উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেগম সাহিদা মোল্লা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ি স্থানীয় জামালপুর ইউনিয়নের বাগমারপাড়া গ্রামে। রোববার সন্ধ্যায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মতি তার প্রেমিকাকে বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামের একটি কালভার্টের পাশে নির্জন বাগানে নিয়ে যায়।
সেখানে মতি তার তিন বন্ধুসহ প্রেমিকাকে নিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়। এরপর অন্ধকার ঘনিয়ে এলে তিন বন্ধুসহ প্রেমিক মতি ওই স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাতভর ধর্ষণ শেষে সোমবার ভোরে অচেতন অবস্থায় তাকে ফেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গোঙ্গানীর শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।
সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দেয় এবং তার প্রেমিক মতিউর রহমান মতিসহ একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে মাসুদ (২২), শামসুদ্দিনের ছেলে নজরুল (৩০) ও মিনু মিয়ার ছেলে আরিফকে (২৫) অভিযুক্ত করে। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীকে সেখান থেকে বিকেল ৪টার দিকে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’