মুন্সিগঞ্জ, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর থানা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকালে সদর থানায় মামলা দুটি করেন চর আব্দুল্লাহ নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান। একটি মামলায় পুলিশের কাজে বাধা, গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। অপর মামলাটি হয়েছে অস্ত্র আইনে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এতে ডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরকে প্রধান আসামি করা হয়।
গেল শনিবার বিকালে মুন্সিগঞ্জ সদরের মেঘনা নদীতে পুলিশের সঙ্গে নৌ ডাকাত কানা জহিরের লোকজনের গোলাগুলি হয়। পুলিশের ধারণা, তাদের গুলিতে কানা জহির ও তার সহযোগী মাসুদ সিকদার গুলিবিদ্ধ হয়।
তারা জানিয়েছিল, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কানা জহির ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে কালিরচর গ্রামের বাচ্চু মেম্বারের বাড়ি-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কানা জহিরসহ ৫ সহযোগী স্পিডবোটে পালাতে চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে মুখোমুখি হয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও এসময় পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকে। পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে চারটি ককটেল, ১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, একটি চায়নিজ কুড়াল উদ্ধার করে। পাশাপাশি একটি স্পিডবোট জব্দ করা হয়।