প্রায় ছয় হাজার দুই শ’ বায়ান্ন কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা থেকে মাওয়া এবং পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। এটি হবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার ঢাকা মাওয়া সড়কের কেরানীগঞ্জ এলাকায় নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন স্থানে নির্মাণকাজের সূচনা করেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চীফ মে. জে. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার উপস্থিত ছিলেন।
নির্মাণকাজের সূচনা করে মন্ত্রী সমবেত সাংবাদিকদের ব্রিফিং-এ বলেন, পদ্মা সেতু এবং এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণকাজ একই সময়ে শেষ হবে। এ প্রকল্পটির আওতায় মহাসড়কে ৪টি ফ্লাইওভার, ৪টি রেলওয়ে ওভারপাস এবং ২১টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। সড়কের মাঝখানে পাঁচ মিটার প্রশস্ত মিডিয়ান থাকবে। ভবিষ্যতে এ মিডিয়ান ব্যবহার করে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ মহাসড়কের দু’পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য থাকবে পৃথক লেন। মহাসড়কে কোনও ট্রাফিক ক্রসিং থাকবে না। এতে যানবাহনসমূহ নিরবচ্ছিন্ন চলাচল করতে পারবে।
এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশের মহাসড়কগুলো এখন সকাল, সন্ধ্যা এবং রাতে কুয়াশাছন্ন থাকে। সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে তিনি গাড়ি চালকদের সতর্কতার সাথে এবং নিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালাতে অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে।
এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন-পশ্চিম এর মহাপরিচালক ব্রি.জে. মো. আহসানুল কবির, প্রকল্প পরিচালক কর্ণেল ইফতেখার আনিছ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সালাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহীনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।