সুশান্ত সিং রাজপুতের ঘটনায় ড্রাগ দুনিয়ার সঙ্গে যোগ পেয়েছে সিবিআই। রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখার পরে বোঝা গিয়েছে যে রিয়া ড্রাগ ডিলিং এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং নিজেও ড্রাগ নিতেন।
এই তথ্যগুলি নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এর থেকেই মনে করা হচ্ছে যে সুশান্ত সিং রাজপুতকেও ড্রাগ দেওয়া হয়েছিল।
বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদি এবং রিয়া চক্রবর্তীর একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সুশান্ত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে তিনি মারিজুয়ানা বা গাঁজা ছেড়ে দেবেন।
টাইমস নাও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ২০২০-র জানুয়ারি মাসে সুশান্ত একটি মিটিং চলাকালীন ভেঙে পড়েন এবং কাঁদতে শুরু করে দেন।
শ্রুতি এই বিষয়ে রিয়াকে মেসেজ করে জানিয়েছিলেন যে, সুশান্ত বলেছেন তিনি গাঁজা সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দেবেন। সেখানে তিনি বলছেন যে সেদিন সুশান্ত ঘুমিয়ে পড়েন এবং তিনি তাকে রেখে তখন বেরিয়ে যান।
এই চ্যাট থেকেই জানা যায় যে নিয়মিত ওষুধ খেয়েও সুশান্ত কিছুতেই সুস্থ হচ্ছিলেন না। তাই তার আরও চিকিৎসার প্রয়োজন। আরেকটি চ্যাট থেকে জানা যাচ্ছে বেশ কিছু বেআইনি মাদক ব্যবহার করতেন রিয়া চক্রবর্তী।
তার মধ্যে রয়েছে গাঁজা, চরস এবং এমডিএমএ। সুশান্তকে ড্রাগ দেওয়ার বিষয়ে একজনের থেকে পরামর্শ নিয়েছিলেন রিয়া। যদিও রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মনশিন্দে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তার প্রকাশ করা বিবৃতি অনুযায়ী রিয়া চক্রবর্তী জীবনে কোনদিন কোন রকমের ড্রাগ নেননি। অভিনেত্রী প্রয়োজনে ব্লাড টেস্ট করাতেও প্রস্তুত এমনই জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
টাইমস নাও এর প্রতিবেদন অনুযায়ী রিয়া চক্রবর্তী, তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং হাউস স্টাফ দীপেশ সাওয়ান্তের মধ্যে এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এ কথা-বার্তা হয়েছিল।
এবং এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে রিয়া এবং বাকি সকলেই ড্রাগ নিতেন।
সিবিআই এবং নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর মতে এই রহস্যজনক মৃত্যুতে ড্রাগের ব্যবহার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক।
অনুমান করা হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতকেও এই ড্রাগ দেওয়া হয়েছিল যার ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। তাই ড্রাগের বিষয়টি জোর দিয়ে দেখছে সিবিআই।