১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | বিকাল ৩:২৫
টিকটকে পরিচয়: মুন্সিগঞ্জে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ঠুকে দিলেন নারী
খবরটি শেয়ার করুন:
19

মুন্সিগঞ্জ, ২০ মে ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

১১ মাস আগে স্বামী পরিত্যক্তা ১৮ বছর বয়সী নারীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে পরিচয় হয় ২১ বছর বয়সী মারুফ শেখের। এরপর বিয়ের আশ্বাসে বন্ধুর বাড়ি, কুয়াকাটা সাজেকসহ ঘুরেছেন একাধিক জায়গায়। শেষে বিয়েতে আপত্তি করায় বেঁধেছে বিপত্তি। যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিয়েছেন নারী। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এসব ঘটনা ঘটেছে মুন্সিগঞ্জ সদরে। ভুক্তভোগী নারী রামপাল ইউনিয়নের সিপাহীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

গ্রেপ্তারকৃত যুবক মো. মারুফ শেখের বাড়ি (২১) আধারা ইউনিয়নে। তবে থাকেন শহরের গণকপাড়া এলাকায়।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে শহরের গণকপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে থানায় বাদী হয়ে ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণ মামলা রুজু করলে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করে বলা হয়, ১১ মাস আগে ২০২৪ সালে টিকটকে পরিচয় হয় দু’জনের। পরে কথা বলতে বলতে প্রেম হয় তাদের। ভুক্তভোগী নারীর আগে একবার বিয়ে হয়েছিলো বলে প্রেমিক মারুফকে জানালে সেটি মেনে নিয়ে একাধিক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায় মারুফ।

এছাড়া, সময় সুযোগমত অতি দ্রুত সময়ে বিয়ে করার আশ্বাসে ২০২৪ সালের নভেম্বরে রামপাল স্কুলের পাশে বন্ধুর বিল্ডিং বাসায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ও পরবর্তীতে রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক ভ্যালিতে বেড়াতে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হন বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন বাদী। এছাড়া অভিযুক্তের মোবাইল ফোনে বাদীর আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও সংরক্ষণ করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, কিন্তু বর্তমানে মারুফ মামলার বাদী মেয়েটির সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক রাখতে চায় না এবং তার সংরক্ষণে আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও দেখিয়ে ভয়ভীতি ও হমকি দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

আরও বলা হয়, সর্বশেষ গত ১৪ মে বেলা ১১টার দিকে বিয়ের জন্য যোগাযোগ করলে আসামি মারুফ ওই নারীকে বলেন, ‘আমি তোকে বিয়ে করবো না, এই বিষয় নিয়া তুই যদি বেশি বাড়াবাড়ি করিস তাহলে তোর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে সম্মানহানি করবো।’ এরপরই মামলার সিদ্ধান্ত নেন ভুক্তভোগী নারী।