মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এ ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী অলিউল্লাহ খানসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় দীঘিরপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দীঘিরপাড় ইউপির চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী অলিউল্লাহ খানের মাথায় আঘাত লাগে। তিনি এখন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীঘিরপাড় ইউপির নির্বাচনকে ঘিরে দীঘিরপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় কথা বলার জন্য বিএনপির প্রার্থী অলিউল্লাহ খান ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ হালদারও উপস্থিত ছিলেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়।
বিএনপির প্রার্থী অলিউল্লাহ খান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরই আমার ওপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। পুলিশের সামনেই আমার ওপর হামলা চালানো হয়।’
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরিফ হালদার বলেন, ‘বিএনপির কারণেই এই ঘটনা। ওরাই আমার ও আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমার ওপর আনা অভিযোগ মিথ্যা।’
টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারকাজের সময় দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তর্ক হয়। খবর পেয়ে আমি পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হই। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সে সময় দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’
ওসি আরো জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও এখানে উপস্থিত আছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আগামী ৭ মে ৪র্থ দফায় টঙ্গিবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।