১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সন্ধ্যা ৬:০৪
খুনের দিন রুবেলের সঙ্গে সাতবার কথা বলেন সোনিয়া
খবরটি শেয়ার করুন:

কোয়ালিটি আইসক্রিমের সাবজিরো ব্র্যান্ডের ব্যবস্থাপক ওবায়দুল হকের খুনের দিন স্ত্রী তাসমিন খদিজা সোনিয়া প্রেমিক রুবেলের সঙ্গে সাতবার কথা বলার কথা স্বীকার করেন । তবে ওবায়দুল হত্যার পর রুবেলের সঙ্গে তার আর কোন যোগাযোগ হয়নি।

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর ভাগ্নে ওবায়দুল হত্যা মামলায় গত শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বুধবার মধ্যরাতে তাকে চট্টগ্রামের ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। ওই হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে গভীর রাতেই ছাড়পত্র নিয়ে সিএনজি অটোরিকশা করে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন সোনিয়া। তাকে গ্রেফতারের পর রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস বলেন, চার বছর আগে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের মধ্য দিয়ে রুবেল ও সোনিয়ার পরিচয় হয়। এর পর দুজনে একই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিয়ের পরও রুবেলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন। রুবেল ও তার ভাগ্নে পাপ্পুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে রুবেলের সঙ্গে গোপনে তিনি প্রায়ই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে যেতেন। বিলম্বে বাসায় ফেরার কারণে অনেক সময় শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া হতো। তাই সার্কুলার রোডের বাসায় শাশুড়িকে না রাখতে স্বামীকে বিভিন্ন সময় চাপ দেন। জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দাদের। রুবেলের সঙ্গে চার বছরের পরিচয় থাকলেও দেড় বছরের কথা স্বীকার করেন। ঘটনার দিন রুবেলের সঙ্গে এতবার কথা বলার ব্যাপারে সোনিয়া দাবি করেন, নোটের ব্যাপারে তথ্য নিতে সাতবার কথা বলেছেন।

গত ২৬ জুন রাতে নিজ কর্মস্থল বসুন্ধরা সিটি থেকে রিকশাযোগে বাসায় ফেরার পথে সার্কুলার রোডে খুন হন ওবায়দুল। তিন যুবক ওবায়দুলের কাছে থাকা ল্যাপটপ ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছিনতাইকারীদের হাতে নুরুল ইসলাম বিএসসির ভাগ্নে খুন হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।