৯৩ রানে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটলো, ম্যাচে তখন স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তারপরও ভয় যেটুকু ছিল তার সবটাই আগের তিন ম্যাচের দুস্মৃতির কারণেই।
আর, সেজন্যই কিনা মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬২ রানে আটকে ফেলার পরও ভয় ধরেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বুকে। ভয় ধরার কারণ ছিল মাত্র ২৪ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসের সাজঘরে ফেরা।
কিন্তু, বাকিটা সময় ছিল হুঙ্কার। আহত; ক্ষুধার্ত বাঘের হুঙ্কার। সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১৩৫ রানের জুটিতে ছিটকে গেলো পরাক্রমশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। হেরে গেলে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে; ২২ ওভার দুই বল বাকি থাকতেই। সৌম্য ৮৮ ও রিয়াদ ৫০ রান করেন। তাদের দু’জনের যোগ করা ১৩৫ রানই যেকোন উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
টসের জয়টা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। আর তাতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হাশিম আমলা। আর তাতে নাসির হোসেনের স্পিন আর মুস্তাফিজুর রহমানের পেসে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ১৬২ রানেই চার ওভার বাকি থাকতেই অল আউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
নাসির ও মুস্তাফিজ প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট পান। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ফাফ ডু প্লেসিস। আর বাকিটা ইতিহাস! ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মত যেকোন ফরম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিলো বাংলাদেশে।
গায়ানার স্মৃতি ফিরে এলো মিরপুরে। আশরাফুল হয়ে গেলেন সৌম্য! কিভাবে? শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বিজয়ের বন্দরে দলকে নিয়ে যান সৌম্য। আর আশরাফুলকে ছাড়িয়ে সৌম্য হয়ে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক।