মুন্সিগঞ্জ, ১৫ আগস্ট, ২০২২, ডেস্ক রিপোর্ট (আমার বিক্রমপুর)
১৯০৩ সালের ২২ অক্টোবর, বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ও কোলাপাড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে উল্কাপাত হয়েছিল৷
১৯১১ সালে প্রকাশিত ক্লার্ক ও বওম্যানের রচিত প্রতিবেদন অনুযায়ী উল্কাটা বাতাসে বিস্ফোরিত হয়ে টুকরো টুকরো হয়ে কোলাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইকশা ও দোগাছি গ্রাম এবং কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবান্দি, রানা ও হারিয়া গ্রামে আছড়ে পড়ে৷ কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷
এটা H5 শ্রেণির কন্ড্রাইট জাতীয় উল্কাপিণ্ড৷ এর নাম ‘দোগাছি উল্কাপিণ্ড’৷
তৎকালীন ইংরেজ সরকার উল্কার টুকরা সংগ্রহে যায়৷ প্রায় ২৪ টা টুকরাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল যা তৎকালীন কলকাতার ভৌগোলিক গবেষণা কার্যালয়ে পাঠানো হয়৷ টুকরাগুলোর মিলিত ওজন ৩.৮৪ কেজি৷ সবচেয়ে বড় টুকরাটি ১.৫ কেজি ওজনের৷ উল্কার টুকরাগুলো ইংরেজদের হাত ধরে কিছু কলকাতায়, কিছু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে আর কিছু লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্টোরি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে৷
বাংলাদেশের মাটিতে নিদর্শন সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয় আরও পরে এবং এর প্রেক্ষিতে দেশের প্রথম জাদুঘর হিসেবে উল্কাপাতের ৭ বছর পর ১৯১০ সালে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়৷
তাই উল্কাপিণ্ডের কোনো টুকরা দেশে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি, আর তখন বাংলাদেশও ছিল না৷
তথ্যসূত্র: