মুন্সিগঞ্জ, ২৭ নভেম্বর ২০২৩, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি বছরের (২০২৩) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুন্সিগঞ্জ জেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ। অংশ নিয়েছিলো ২৮টি প্রতিষ্ঠানের ৮ হাজার ৮৫৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে অনুত্তীর্ণ হয়েছে ২ হাজার ৫১৩ জন। সর্বমোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪০ জন শিক্ষার্থী। সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থী ছিলো শ্রীনগর সরকারি কলেজ থেকে ১৭৯২ জন এবং সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী ছিলো মেদিনীমন্ডল মহিলা কলেজ থেকে মাত্র ২ জন।
অন্যদিকে, জেলায় আলীম পরীক্ষায় ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৪২ জনই উত্তীর্ণ হয়। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৬ দশমিক শূন্য ৬।
এবার মুন্সিগঞ্জ থেকে এইচএসসি (কারিগরী) পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩১৭জন। এর মধ্যে ২৭১ জন উত্তীর্ণ হয়। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৪৮।
এইচএসসির ফলাফলে পাসের হারের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জে প্রথম স্থান অর্জন করেছে লৌহজংয়ের ইউনুস খান মেমোরিয়াল কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার শতভাগ।
অন্যদিকে, জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি হরগঙ্গা কলেজ জেলার সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে এসেছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১২৭৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। পাসের হার ৭৯ দশমিক ৩৯।
পাসের হারে সেরা কলেজ
জানা গেছে, এবছর লৌহজংয়ের ইউনুস খান মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, সিরাজদিখানের মালখানগর কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৮৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৪।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে, লৌহজং কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৫২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৬৪০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। পাসের হার ৯৮ দশমিক ১৬।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে, শ্রীনগর চুড়াইন এলাকার আদর্শ কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। পাসের হার ৯৪ দশমিক শূন্য ৭।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে, টংগিবাড়ী উপজেলার সেরাজাবাদ রানা শফিউল্লাহ কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৬৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৬।
ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে, সদর উপজেলার প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১২৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। পাসের হার ৯১ দশমিক ৮৫।
সপ্তম অবস্থানে রয়েছে, লৌহজং উপজেলার কলমা লক্ষীকান্ত হাই স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৬১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৫৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে কেউই জিপিএ-৫ অর্জন করতে পারেনি। পাসের হার ৯০ দশমিক ১৬।
অষ্টম অবস্থানে রয়েছে, সদর উপজেলার সরকারি হরগঙ্গা কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১২৭৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। পাসের হার ৭৯ দশমিক ৩৯।
নবম অবস্থানে রয়েছে, সিরাজদিখান উপজেলার বিক্রমপুর কে.বি কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৮২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩১৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। পাসের হার ৭৫ দশমিক শূন্য ৬।
দশম অবস্থানে রয়েছে, শ্রীনগর সরকারি কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৭৯২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৩০২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৬।
ধারাবাহিক ক্রমে থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ১১. মিরকাদিম হাজী আমজাদ আলী কলেজ, ১২. বালিগাও আমজাদ আলী কলেজ, ১৩. বিক্রমপুর টংগিবাড়ী কলেজ, ১৪. রামপাল কলেজ, ১৫. বিক্রমপুর আদর্শ কলেজ (কুচিয়ামোড়া), ১৬. মুন্সিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, ১৭. স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউট এন্ড কলেজ, ১৮. শ্রীনগর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ, ১৯. মেদিনিমন্ডল মহিলা কলেজ, ২০. গজারিয়া কলিমউল্লাহ কলেজ, ২১. মুন্সিগঞ্জ কলেজ, ২২. হাসাড়া কালীকিশোর স্কুল এন্ড কলেজ, ২৩. গজারিয়া সরকারি কলেজ।