১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | দুপুর ১২:৩৮
Bigo apps: অশ্লীলতার আভাস মুন্সিগঞ্জের সর্বত্র
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, বর্ষন মোহাম্মদ (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের কিশোর-কিশোরী, তরুন-তরুনী, যুবক-যুবতী কিংবা নবীন-প্রবীন যাই হোক না কেন, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী সহজলভ্য হওয়ায় সকলের হাতেই প্রথম স্থানে আছে স্মার্টফোন।

ডাটা প্যাকেজ বা ওয়াইফাই সংযোগ সহ স্মার্টফোন ছাড়া একটি দিন পার করা মানে জীবন থেকে কিছু হারিয়ে যাওয়া, তাই নয় কি!

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে কেউ যদি বলে আমার কোন ফেইসবুক একাউন্ট নেই বিষয়টা অবাক করার মতই!

গোটা পৃথিবীটাই আজ ইন্টারনেটের শেকলে বন্দি। তারই ধারাবাহিকতায় সাধারণ মানুষের রক্ত পানি করা কষ্টে উপার্জিত বিশাল অংকের অর্থ ক্যাবল নেটওয়ার্ক কোম্পানি গুলো রকমারি উপায়ে জাল পেতে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইমো, স্নাপ চ্যাট, ভাইবারের মত Bigo ও পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষ গুলোকে একটি বৃত্তে সংযোগ ঘটিয়েছে৷

এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারনে বিচ্ছিন্ন বা হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষদের মধ্যে ভাবের বন্ধনে আকরে রাখার সহজ প্রক্রিয়া সৃষ্টিতে সফল হয়েছে৷ দূরে থেকেও যে ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় রাখা যায় তারই প্রমান গড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে কিছু মানুষকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন করে জাতি, দেশ ও সমাজের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে।

হঠাৎ করেই Bigo Live apps জনপ্রিয়তায় এগিয়ে চললেও সমালোচনায় বিদ্ধ Bigo apps সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগ প্রকাশিত হচ্ছে।

কতিপয় অজ্ঞাতনামা বেশ কিছু সিন্ডিকেট অগনিত যুবতীদের মাধ্যমে লাইভে খোলামেলা পোশাকে অশালীন কথপোকথন, নৃত্য, বন্ধুত্ত্ব, প্রেম প্রনয়ের মায়া জালে নষ্ট এক ধোয়াশার পল্টন তৈরি করেছে ৷

আমাদের দক্ষিন এশিয়ায় এর প্রভাব যেন বেশী জোড়ালো৷ তারচেয়েও আতংকের বিষয় বাংলাদেশের প্রায় কয়েক লক্ষ্যাধিক মানুষ মেতে আছে বহু ক্যাটাগোরিতে সাজানো এই জলসায়।

মুন্সিগঞ্জেও এর বিস্তার ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। তাই এখনি সচেতন হওয়া উচিত।

সাইবার নেটওয়ার্কিং সংস্থা গুলো থেকে জানানো হয় যে, তৈরি হয়েছে কিছু সিন্ডিকেট। বিভিন্ন গড়নে সাজানো এই এপ্সের লাইভ কথোপোকথন প্রতারণার কৌশল তা বুঝার আগেই অদৃশ্য অর্থের কিছু অংশ হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট।

খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিনিয়ত ইন্টানেট ব্যবহারকারীরা Bigo apps এর অপব্যবহারকারীদের প্রতারণার ছকে আটকে খুইয়েছেন নগদ অর্থ।

মুন্সিগঞ্জের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র বাশার আহমেদ প্রতিবেদককে বলেন, গুগল প্লেতে Bigo apps এ পাবজির বিজ্ঞাপন দেখে এপ্স টা ডাউনলোড করি। গেইম, মুভি,গান, আড্ডা সব যোগে এই এপ্সে লাইভে অশালীনতা দেখে হতবাক হই। আমার কাছে মনে হয়েছে প্রকাশ্যে যৌনকর্ম নিয়ে কথপোকথন। ভাবতে অবাক লাগে ৯০% মুসলমানদের এই দেশে এসব কর্মকান্ড কারো নজরে পরছে না?

এই বিষয়টি আড়ালে থাকার প্রধান কারন সকলেই ফেইক নাম ব্যবহার করে যুক্ত এই এপ্সের সাথে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোস্ট প্রতিবেদক কে বলেন- নতুন প্রজন্মের জন্য বিভিন্নরকম ভাবে এই এপ্সের অপব্যবহার করছে, বেশ কিছু সিন্ডিকেটের প্রায় সবাই এটা দেশের বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রন করে। অভ্যন্তরীণ সিনিন্ডিকেট ও ব্যবহারকারীদের সাথে নিয়ন্ত্রকদের সরাসরি যোগাযোগ নেই।

প্রতিবেদন টি তৈরির জন্য প্রতিবেদক ও বেশ কিছু দিন Bigo এপ্সের সকল কর্ম পর্যবেক্ষণ করে।

সংক্ষিপ্ত আকারে একটি বিশ্লেষণ এই যে, ২৪ ঘন্টা চলমান Bigo এপ্স এর অপব্যবহার সামাজিক ব্যাধি সৃষ্টি করছে।

এটি সম্পুর্ন ঘোলাটে আবরনে সৃষ্টি এপ্স। সেইক্ষেত্রে বিনোদন বা শিক্ষামূলক যুক্তিতে এই এপ্সটি সার্বজনীন স্বীকৃত হতে পারে না!

ফেইসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিস্তারের আগে ফ্লাশচেট, ইবাড্ডি, মিগ৩৩ এর মত এপ্স গুলো যেভাবে ফেইক আইডি করে ধোকাবাজি করতো, তারই নতুন আপডেট রুপ!

নতুন প্রজন্ম কে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য সামাজিক সংগঠন গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে৷

নয়তো আগামী প্রজন্মের বিবেক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে নষ্ট করার মধ্য দিয়ে বিকৃত ও নগ্ন মনস্তাত্ত্বিক অপধারার উন্মেষ ঘটবে যা আমাদের সমাজব্যবস্থার সৌন্দর্য্যের প্রতি হুমকি স্বরুপ!

তাই এখনি সচেতন হলে সংবাদকর্মী, লেখক, গবেষক ও সামাজিক সংগঠন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীদের প্রতারণা ও অশ্লীলতার এই নগ্নতার স্রোত বন্ধ করা সম্ভব।

বিঃদ্রঃ লেখাটি এপ্স এর বিরুদ্ধে নয় এর অপব্যবহারকারীদের উদ্দ্যেশ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য। সবিনয় আবেদন লেখাটি সম্পুর্ন ব্যাক্তিগত। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।

error: দুঃখিত!