পনেরোই আগষ্ট কালোরাত
-বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছুল ইসলাম তালুকদার
১৫ আগষ্ট কালো রাত, রাত পোহায়ে হলো প্রভাত,
রক্তের বন্যা বয়ে গেলো ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে।
বঙ্গবন্ধুর বত্রিশ নম্বরের বাসস্থান হয়ে গেল গোরস্থান,
বুলেটবিদ্ধ লাশের সারি ভাসে রক্তের জোয়ারে।
বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা কী লিখিব তাঁদের শাহাদাৎ বরণের কথা,
নরপশু খুনির দল অবিরাম গুলি ছোড়ে।
যাকে পায় তাকেই মারে হত্যাযজ্ঞের উৎসব করে,
দশ বছরের অবুঝ শিশু শেখ রাসেলকেও না ছাড়ে।
পনেরোই আগষ্ট ৭৫ এ শেখ হাসিনা ছিলেন না ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে,
৩০শে জুলাই ৭৫ এ পশ্চিম জার্মান চলে যান।
আল্লাহর অশেষ রহমতে হলো না তাকে জীবন দিতে,
লাখো বাঙ্গালীর মঙ্গলের তরে রক্ষা পেল তার প্রাণ।
ছেলে সন্তান সহকারে পশ্চিম জার্মান চলে যান বিমানে চড়ে,
ভ্রমণ সাথী হন একমাত্র সহোদর বোন শেখ রেহেনা।
১৫ই আগষ্ট কালো রাতে পশ্চিম জার্মান অবস্থান করেন এক সাথে,
বত্রিশ নম্বরের কালো রাতের খবর তাদের কাছে পৌছায় না।
পশ্চিম জার্মানীর রাষ্ট্রদূত খবর পেয়ে শেখ হাসিনাকে দেয় জানায়ে,
ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে কালো রাতে পুরো ঘটনা।
শুনিয়া মা-বাবা হারানের খবর কাতর কন্ঠে ডাকে ওহে সহোদর,
বলেন বত্রিশ নম্বরে লাশের সারি তাদের কান্না যে থামে না।
বঙ্গবন্ধু নামের রবি হলো অস্তমিত যাঁর নামে বাঙ্গালী জাতি চির গর্বিত,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির শিরোমণি।
চিরধন্য টুঙ্গীপাড়ার মাটি সেখানে রয়েছে তাহার দোলনা আর দুধের বাটি,
ওখানেই সযত্নে শায়িত রয়েছে প্রাণহীন তার দেহখানী।