১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | রাত ৩:২২
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
শ্রীনগরে মন্দিরের পুকুর দখলের পায়তারা!
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৩১ আগস্ট, ২০২০, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল এলাকার ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ণ জিউ ঠাকুরের নামে উৎসর্গকৃত মত্তগাঁও মৌজায় আরএস ৩৩৩৪, ২৩৩২ ও ২৩৬১ নং দাগে দেবোত্তর সম্পত্তির একটি পুকুর/ডাঙা জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বালাশুরের মো. মজিবর, চান্দু বেপারী, শাহা আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মন্দিরের সেবাইত রনাজিৎ কুমার দে প্রাশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন।

স্থানীয় ও আবেদনপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দেবোত্তর সম্পত্তি দেখভালের জন্য অপু দাস, রিফাত ও শাহাদাত পুকুরে যায়। এসময় বালাশুর গ্রামের মজিবরের নেতৃত্বে চান্দু বেপারী, শাহা আলমসহ বেশ কয়েকজন মিলে তাদের কাছ থেকে গাছের ডাল, লগি, বৈঠা, দড়ি ও জঙ্গল পরিস্কার কাজে ব্যবহ্নিত দা-কাস্তে কেড়ে নেয় এবং পুকুরে না আসার জন্য হুমকি প্রদান করে।

শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ণ জিউ ঠাকুর মন্দিরের সেবাইত ও বালাশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার দে জানান, এর আগেও পুকুর দেখভাল করতে গেলে আমাদেরকে তারা বাঁধা প্রদান করেছিল। ওই ঘটনায় গত ২০১৯ সনের সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। মহলটি পুকুরটি পুনরায় বিভিন্ন ভাবে দখলের পায়তারা করছে। শ্রীনগর থানাসহ প্রসাশনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন পত্র দিয়েছি। পুকুরটি রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে মো. মজিবরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

চান্দু বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মজিবরের কথায় আমি ওই পুকুরে দিনমজুরের কাজে যাই।

এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা জানান, একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: দুঃখিত!