মুন্সিগঞ্জ, ২ মার্চ, ২০২৩, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
৪ মাস আগে গেল বছরের নভেম্বরে মুন্সিগঞ্জ—গজারিয়া রুটে তৃতীয় দফায় ঘটা করে ফেরি সার্ভিস চালু করে বিআইডব্লিউটিসি। এর আগে, এই রুটটি সচল রাখার লক্ষ্যে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রায় সাড়ে ৮০ কোটি টাকা ব্যায়ে মুন্সিগঞ্জ ও গজারিয়া প্রান্তে সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করে দেয় সরকার।
ফেরি সার্ভিসটি চালুর ফলে ঢাকা—চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন মুন্সিগঞ্জ—শ্রীনগর হয়ে সরাসরি পদ্মা সেতুতে উঠতে পারবে। সেসময় ধারণা করা হয়েছিলো, এই সুযোগটি কাজে লাগাবে যাত্রী ও গাড়িচালকরা। কিন্তু প্রচারণা, তদারকি, গজারিয়ার ফুলদী নদীতে আরও একটি ফেরি ও দুই প্রান্তেই সরু সড়কের কারণে কোন সুফল আসেনি। উল্টো, মুখ থুবড়ে পড়েছে মুন্সিগঞ্জ—গজারিয়া ফেরি সার্ভিস।
৪ মাসে উদ্বোধনের দিন ছাড়া একদিনের জন্যও চলেনি ফেরি। গেল শীত মৌসুমের শুরু থেকেই উভয়প্রান্তে নির্মিত ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীতে নাব্যতা সংকটের অযুহাতে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি সার্ভিস। দেড় মাস আগে বিআইডব্লিউটিএ নাব্যতা সংকট নিরসনে মুন্সিগঞ্জ—নারায়ণগঞ্জ সীমান্তের চরকিশোরগঞ্জ প্রান্তে নদীতে ড্রেজিং শুরু করলেও বাস্তবে কাজ শুরু হয়েছে মাত্র ৫দিন ধরে।
ড্রেজিং সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুধু মুন্সিগঞ্জ প্রান্তের ফেরিঘাট সংলগ্ন নদী ফেরি চলাচলের উপযোগী করতে সময় লাগবে আরও ১ মাসের বেশি। পরে গজারিয়া প্রান্তের কাজ শুরু করা হবে। ফলে ফের কবে নাগাদ মুন্সিগঞ্জ— গজারিয়া রুটে ফেরি সার্ভিস সচল হবে তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কেউই।
গতকাল বুধবার সরেজমিন ঘুরে ফেরি এবং ড্রেজার সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে এসব চিত্র।
এসময় দেখা গেছে, ঘাটে বেকার সময় পার করছেন ফেরি কর্ণফুলী ও সন্ধ্যামালতি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।
ফেরি সন্ধ্যা মালতির চালক সাগর হোসেন জানান, উদ্বোধনের দিন এই রুটে চলাচলের জন্য ৩টি ফেরি আনা হয়। এর মধ্যে ফেরি স্বর্ণচাপা কয়েকটি ট্রিপ দেয়। এর পরদিন ২—৩টি গাড়ি নিয়ে সারাদিনে ১—২ টি ট্রিপ হলেও গেল ৪ মাসে আর একবারের জন্যও ফেরি চলেনি।
ফেরি সংশ্লিষ্টরা জানান, মুন্সিগঞ্জ—গজারিয়া রুটে যাওয়া আসায় ৪৫ মিনিট সময় লাগে। এতে ৩০ লিটার তেল লাগে। খরচ হয় ৩৩০০ টাকা। মুন্সিগঞ্জ—গজারিয়া রুটে তৃতীয় দফায় ফেরি সার্ভিস চালুর পর একবারও এই খরচ উঠে আসেনি।
ফেরি কর্ণফুলীর মাষ্টার মো. রবিউল হক জানান, ৪ মাস আগে নভেম্বরে ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ার পর ৩ টি খালি ট্রিপ দিয়েছিলাম। এরপর ৪ মাস ধরে বেকার বসে আছি। সরকার নিয়মিত বেতন দিচ্ছে। তবে না চাইলেও এখানে আলসে বসে থাকতে হচ্ছে।
তিনি জানালেন, দেড় মাস আগে এখানে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। তবে তারা কোনরকমে লোকদেখানো কাজ করছে। তারা চাইলে ৩দিনে ড্রেজিং করে নৌপথ ঠিক করতে পারে। কিন্তু তাদের সেই সদিচ্ছা নেই বলেই মনে হয়। এসময় ফেরিঘাটের অদূরে নদীতে নোঙর করা বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং হাউজবোটে গেলে দেখা যায় ড্রেজিং কাজ বন্ধ রেখে বিশ্রাম নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট চালকসহ একাধিক শ্রমিক।
এসময় কথা হয় বিআইডব্লিউটিএর ১৩৫ ড্রেজিং মাষ্টার মোফাজ্জল হোসেনের সাথে। তিনি নিজেই জানান, দেড় মাস আগে এখানে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করার জন্য আসেন তারা। তবে কাজ শুরু করেন ৫—৬দিন আগে। মাঝখানের সময়টা চলে যায় পরিকল্পনা করতে।
মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ড্রেজিং করে বালু কোথায় ফেলবো, কোথায় ফেললে আবার নদীতে আসবে না এসব বোঝার ব্যাপার রয়েছে। তাই দেরি হয়েছে। এখন কাজের গতি কম কি না, বা দেরি করে কাজ শেষ করলে তাদের লাভ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সরকারি বেতনভুক্ত। এটি চুক্তিভিত্তিক কাজ নয়। দেরি করে কাজ শেষ করলে আমাদের আলাদা কোন লাভ হবে বিষয়টা এমন না।
এসময় তিনি আরও জানান, মুন্সিগঞ্জ—নারায়ণগঞ্জ সীমান্তের ড্রেজিং কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও এক মাসের বেশি সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত ২০০ ফুট বালু কাটা হয়েছে। আরও ৩০০ ফুট কাটার পরে বোঝা যাবে নতুন করে ডানে—বামে কাটতে হবে কি না। এরপর গজারিয়া প্রান্তেও ড্রেজিং লাগবে। সেখানে গেলে পরিকল্পনা করে বলা যাবে সেখানের কাজ শেষ করতে কতদিন লাগবে। সব মিলিয়ে ড্রেজিং কাজ শেষ করে কবে আবার ফেরি সার্ভিস পুরোপুরি চালু হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এসময় আলাপ শেষে পারে ফেরৎ আসতেই সাংবাদিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তড়িঘড়ি করে শুরু করতে দেখা যায় ড্রেজিং কাজ।
ফেরি সন্ধ্যা মালতী পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ রাজিব বলেন, দুই প্রান্তে সরু সড়কের কারণে ভারী ও পণ্যবাহী যানবাহন এই রুটে আসতে চায় না। সড়ক প্রশস্ত না করে ফেরি সার্ভিস চালু রেখে লাভ নেই। শুরুতে ৩টি ফেরি থাকলেও ফেরি স্বর্ণচাপা ভোলার ভেদুরিয়া—লাহারহাট রুটে নেয়া হয়েছে ২ মাস ধরে। বাকি দুইটি ৪ মাস ধরে পরে আছে। এই দুই ফেরির ২৬জন শ্রমিকও দিন কাটাচ্ছেন শুয়ে—বসে।
তিনি বলেন, এভাবে দিনের পর দিন শুয়ে—বসে কাটাতে ভালো লাগছে না। এখানে বাজার করতে হয় অনেক দুরের চরকিশোরগঞ্জ বাজার থেকে। নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থাও নেই।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ও মুন্সিগঞ্জ—গজারিয়া ফেরি সার্ভিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জামাল হোসেন আমার বিক্রমপুরকে বলেন, ড্রেজিং কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করতে চাইনা। তবে যতদিন রুটটি সচল না হবে ততদিন এখানে ফেরি অপেক্ষমান রাখা হবে। আমাদের পক্ষ থেকে রুটটি সচল রাখতে চেষ্টার কোন ত্রম্নটি নেই। তবে কবে ফের এই রুটে ফেরি চলবে তা তিনি বলতে পারেননি।
একপথে দুই ফেরি পারে অনীহা
মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে নদীপথে গজারিয়া উপজেলার দূরত্ব ৭কিলোমিটার হলেও নদীপথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ হয়ে ৪০—৫০ কিলোমিটার সড়ক পথ পাড়ি দিতে হয়।
এতে করে গজারিয়ার আটটি ইউনিয়নের ১২০ গ্রামের প্রায় দেড় লাখ মানুষ ছোট ছোট ট্রলারে ফুলদী ও উত্তাল মেঘনা নদী পার হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ হয়ে মুন্সিগঞ্জ শহরে যাতায়াত করেন।
মুন্সিগঞ্জ—গজারিয়া রুটে মেঘনা নদীতে ২০১৮ সালের জুনে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে রসুলপুর এলাকায় আগে থেকেই চালু রয়েছে আরও একটি ফেরি সার্ভিস। এই পথের সুবিধা নিতে হলে ঢাকা—চট্র্রগ্রাম মহাসড়কের যানবাহগুলোকে রসুলপুরের ফেরিও পার হতে হয়। দুইটি ফেরি পারি দিয়ে এই সড়ক ব্যবহারে অনীহা রয়েছে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের।
মেঘনা নদীতে ফেরি চালুর ফলে মুন্সিগঞ্জ জেলা সদর থেকে গজারিয়া উপজেলায় যাতায়াতে দূরত্ব কমে আসলেও সংকীর্ণ, ভাঙাচোরা সড়ক ও নানা কারনে সেসময় প্রথম দফায় ৫ মাস পরেই ফেরি সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ৮০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যায়ে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত এবং গজারিয়ার কাজীপুরা ফেরিঘাট থেকে রসুলপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত এবং রসুলপুর খেয়াঘাটের অপর প্রান্ত থেকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ভবেরচর—গজারিয়া—মুন্সিগঞ্জ মহাসড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণ নামে ১২.৬০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে দেয় সরকার। তবে সড়কটির উত্তর ইসলামপুর থেকে মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট পর্যন্ত অংশটি এখনো রয়ে গেছে অত্যন্ত সরু। এই পথে যাতায়াতকারী একাধিক যাত্রী ও যানবাহন চালকের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
ঢাকা—চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর এলাকায় কথা হয় ট্রাকচালক হানিফ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের উপর দিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠার একটি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও ফুলদী নদীর ফেরি ও মেঘনা নদীর ফেরি পার হতে হয়। সেখানে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। তাই ওদিকে যাই না। আর মুন্সিগঞ্জ শহরে ঢোকার সবকয়টি সড়কই সরু। সেখান দিয়ে আমাদের বেশি চাকার গাড়িগুলোকে বের হতে বেগ পেতে হয়। সবমিলিয়ে সেই একই সময় চলে যায়।
কুমিল্লা এলাকার বাসিন্দা হোসনে আরা বেগম বলেন, আমার শশুড়বাড়ি যশোরে। আমি প্রায়ই সেখানে যাতায়াত করি। মুন্সিগঞ্জের উপর দিয়ে পদ্মা সেতুতে সহজে উঠা যায় তবে মেঘনা নদীতে ট্রলারে পার হতে হয় বলে আমরা নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা সেতু দিয়ে মুন্সিগঞ্জে যাই। আর যেই ফেরি চালু করা হয়েছিলো সেটি সাধারণ মানুষের জন্য না। বড় গাড়ি না আসলে সেটি ছাড়ে না। আর এমনিতে বড় গাড়িগুলোও এই পথে যায় না। এর মধ্যে শুনেছি ফেরি বন্ধ করে দিছে। কবে চালু হবে তারও ঠিক নাই।
ফুলদী ও মেঘনায় সেতু দাবি
মুন্সিগঞ্জ সদরের সাথে গজারিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে গজারিয়ার রসুলপুরে ফুলদী নদীর উপর এবং মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রতিনিধির কাছে এই দাবি আরও জোড়ালো হচ্ছে। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রম্নয়ারি চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সংসদ সদস্য এম শামসুল ইসলামের দাবির প্রেক্ষিতে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ফুলদী নদীর উপর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দুই দশকেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে গজারিয়া উপজেলার গণমানুষের প্রাণের দাবি ছিল, ফুলদী নদীতে একটি সেতু। সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি।
এই সেতু দুটি নির্মাণে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে জাতীয় সংসদে একাধিকবার এই এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য দাবি জানালেও দ্বিতীয় দফায় তার সংসদীয় মেয়াদকাল শেষ হতে চললেও সেতু নির্মাণে কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সম্প্রতি ফুলদী নদীর উপর সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভ্যাব্যতা যাচাই শুরু হলেও সেটিরও উল্লেখযোগ্য গতি নেই।
অন্যদিকে, মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গেছে। তবে এসব পরিকল্পনা কবে আলোর মুখ দেখবে তা জানেননা কেউই। ফুলদী ও মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলের সেতুবন্ধন হবে।
ফেরির সুফল পায়নি সাধারণ মানুষ
গেল বছরের নভেম্বরে মুন্সিগঞ্জ—গজারিয়া রুটে তৃতীয় দফায় ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে এর কোন সুফলই ভোগ করতে পারেনি এই রুটে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ। গজারিয়ার আটটি ইউনিয়নের ১২০ গ্রামের প্রায় দেড় লাখ মানুষ ছোট ছোট ট্রলারে উত্তাল মেঘনা নদী পার হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ হয়ে মুন্সিগঞ্জ শহরে যাতায়াত করেন। ফলে মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি তাদের কাছে আগের মতই রয়ে গেছে।
নতুন করে ফেরি সার্ভিস চালুর খবরে সেসময় সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও এখন সেই উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়েছে।
এই পথে যাতায়াতকারী সরকারি চাকরীজীবি রিজভি আহমেদ বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে এখানে ফেরিগুলো রাখা হয়েছে। বাস্তবে সাধারণ মানুষ এর কোন সুফল পায়নি। মানুষকে পার হতে হচ্ছে আগের মতই ঝুকি নিয়ে ট্রলারে করে।
মুন্সিগঞ্জ—গজারিয়া রুটের ট্রলার চালক মোতালেব বেপারি বলেন, ফেরি চালুর পর সাধারণ মানুষের কোন উপকারে আসেনি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ট্রলার দিয়েই নদী পার হচ্ছে।