‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক-২০১৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২০০৮ সালের তুলনায় ২ হাজার ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্টারনেটের এই গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে এবং উন্নততর ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে আগামী ২০১৭ সালের মধ্যেই আমরা ফোরজি চালু করার পরিকল্পনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের দাম জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে আমরা প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথের দাম ৮ দফা কমিয়ে ৭৮ হাজার টাকা থেকে মাত্র ৬২৫ টাকায় নামিয়ে এনেছি। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে আমি আহবান জানাই, তারাও যেন সমভাবে গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিই, তখন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ২০ লাখ। যা আজ ৫ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষকে আজ কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, প্রশাসন, বাণিজ্য, ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসসহ নানা ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে দুয়ার থেকে দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে হয় না। জনগণ খুব সহজেই এডুকেশন লাইন, টেলি হেলথ, কৃষি জিজ্ঞাসা, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মোবাইল রেমিটেন্স সার্ভিস, রেলওয়ে টিকিট ক্রয়, বিবিসি জানালা, মোবাইল ব্যাংকিং, হজ তথ্য, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন, প্রবেশপত্র সংগ্রহ, রেজাল্টসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা ইন্টারনেট থেকে গ্রহণ করতে পারছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, স্কাইপি, ভাইবার, ট্যাংগোসহ নানা অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে প্রবাসী আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলতে পারছে। ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটারসহ নানা মাধ্যমে আজ যোগাযোগ ব্যবস্থা চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। একে আরও সহজলভ্য করতে আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ৬০০ মোবাইল অ্যাপস চালু করেছে। দেশের মানুষকে বৃহৎ পরিসরে ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসতে ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর আমরা থ্রিজি চালু করি। ইতোমধ্যে প্রায় সব উপজেলা থ্রিজি সেবার আওতায় এসেছে।