৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | সকাল ৯:০৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
৩ বছরে ৭ হাজার বিবাহ বিচ্ছেদ মুন্সিগঞ্জে, ৭০ শতাংশ ডিভোর্স দিয়েছেন নারীরা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৬ জুলাই ২০২৩, জাহাঙ্গীর আলম (আমার বিক্রমপুর)

২০২০-২২ সাল সর্বমোট ৩ বছরে মুন্সিগঞ্জ জেলায় প্রায় ৭ হাজার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। তথ্য-অনুসন্ধান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ বিচ্ছেদ ঘটেছে নারীদের দিক থেকে।

বিভিন্নজনের সাথে কথা বলে বোঝা গেছে, মুন্সিগঞ্জে বেশিরভাগ বিবাহ বিচ্ছেদের পেছনে স্মার্টফোনের অপব্যবহার, সামাজিক অবক্ষয়, পুরুষের মাদকাসক্তি এবং স্বামী টানা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকায় নারীদের পরপুরুষে আসক্তি- এসবই দায়ী। এছাড়া শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার বা মনের অমিলও বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারন।

তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ পরিসংখ্যানে মুন্সিগঞ্জের ৬ উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা।

মুন্সিগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ বছরে জেলায় নারী কর্তৃক তালাকের সংখ্যা ৪ হাজার ৪২টি, পুরুষ কর্তৃক তালাকের সংখ্যা ৭শ ১৩টি, সমঝোতার মাধ্যমে তালাকের সংখ্যা ২ হাজার ৯৩টি। সেই হিসেবে জেলায় সর্বমোট তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা ৬ হাজার ৮শত ৪৭টি।

জেলা কাজী সমিতির সভাপতি বেলাল হোসাইন বলেন, আধুনিকতা ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় নারীদের অবাঁধ মেলামেশা সহজ হয়ে গেছে। ফলে, বিয়ের পরও নারীরা পুরুষের অবাধ্য হয়ে উঠছে। পুরুষের ক্ষেত্রেও দেখা যায় পরিবারের সাথে তাদের বনিবনা না হওয়ায় অনেক সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদ করতে হচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জ নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) লাবলু মোল্লা বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদসহ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুন্সিগঞ্জ আদালতে মামলার সংখ্যা অনেক। সামাজিক অবক্ষয় এর জন্য দায়ী।

জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সালমা আক্তার বলেন, একসাথে থাকতে গেলে পরিবারে নানা ঝামেলা হয়ে থাকে। কিন্তু সেগুলো নিজেরা বসেই সমাধান করা যায়। সবক্ষেত্রে বিচ্ছেদই সমাধান নয়।

জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস কার্যালয়ের কর্মকর্তা শেখ মহম্মদ হাবিবুল্লাহ্ বলেন, মুন্সিগঞ্জে বেশির ভাগ তালাক দিচ্ছেন নারীরা। কখনো আত্বীয় স্বজনের প্ররোচনায় আবার কখনো এককভাবে তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

সরকারি হরগঙ্গা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হতে হয় সন্তানকে। এবং দেখা যায় যে,  সঠিক লালন পালনে ভুক্তভোগী এসব সন্তানরা বেড়ে না উঠার কারনে পরবর্তীতে নিজেদের অজান্তে নানা অপরাধের সাথে জড়িত হয়।

error: দুঃখিত!