ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি, ২০২২, (আমার বিক্রমপুর)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে অনলাইনে জাতির পিতার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস এর অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হবেন।
২০২২ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয়ভাবে উদযাপন করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতিমূলক সভায় এ কথা জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতার জীবন আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে দেশব্যাপী জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার সুমহান নেতৃত্ব এবং তার বর্ণাঢ্য ও দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের গৌরবময় তথ্য তুলে ধরতে হবে।
সভায় অনুষ্ঠানসূচির আলোচনায় জানানো হয়, আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু দিবসের মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন ও অনলাইনে শিশুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
অনুষ্ঠানটি দেশের সব জেলায় একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হবে বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠিত হবে কাব্য নৃত্য গীতি আলেখ্যানুষ্ঠান ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা সদরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ওপর স্মারক গ্রন্থ, ক্রোড়পত্র, স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ ও প্রকাশ করা হবে। দূতাবাসগুলোতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। দিবসের তাৎপর্য প্রচার ও গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে টেলিভিশন ও বেতারে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা, মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পুস্তক, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।