৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ৮:৫৯
হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে- মৃণাল
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, বিশেষ প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল বাংলাদেশ। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে হবে।

সমাজে সৌহার্দ্য, সাম্য, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় আত্ম-সংযম ও আত্মত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে হিন্দু সভার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুল হক মজনু, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আহমদ রুবেল, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, বিনয় রায় চৌধুরী, গোবিন্দ দাস প্রমুখ।

অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান সবাই রক্ত দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ইশতেহার ছিল- বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। এ দেশ সবার দেশ। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। আমরা উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও সমমর্যাদা রয়েছে। শ্রেণি-বর্ণ, ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা সকলের সমান অধিকার। সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণ পাশাপাশি বসবাস করছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে হবে। সমাজে সৌহার্দ্য, সাম্য, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় আত্ম-সংযম ও আত্মত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হলো সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সংস্কৃতি। প্রতিক্রিয়াশীলদের ষড়যন্ত্র প্ররোচনায় সংঘটিত কয়েকটি ঘটনা ব্যতীত বাঙালি জাতির ইতিহাস মিলনের ইতিহাস, ভ্রাতৃত্বের ইতিহাস। সকল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি সমন্বয়ে উৎসবমুখর ছিল বাঙালি সমাজ। বিভিন্ন ধর্ম ও মতাবলম্বীদের আচার-অনুষ্ঠানেও ছিল সার্বজনীন অংশগ্রহণ।

তিনি বলেন, সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণ পাশাপাশি বসবাস করছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে হবে। সমাজে সৌহার্দ্য, সাম্য, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় আত্ম-সংযম ও আত্মত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

error: দুঃখিত!