মুন্সিগঞ্জ, ২৩ নভেম্বর, ২০২০, লিটন মাহমুদ (আমার বিক্রমপুর)
অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি সময়ে অতিবৃষ্টির আগমনে মাথায় হাত দিয়ে বসেছে মুন্সিগঞ্জের কৃষকরা।
হতাশায় হাজারো কৃষক ,নিভে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। বৃষ্টি ও জমিতে জমে থাকা পানির কারণে মাঠে নেমে কাজ করতে না পারায় বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষক কৃষানীরা।
এ বছরে গত দু’দিনে অতি বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে বহু এলাকায় আলুর পাশাপাশি বহুজাতিক করলা, ধুন্দল, বরবটি, চিচিঙ্গাসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
এবছর কৃষকরা যখন আর কিছুদিনের মধ্যে আলু চাষের জমি তৈয়ারী জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই বৃষ্টি হানা দেয়। ৩ দিনের বৃষ্টিতে ফসলি মাঠে বিশেষ করে আলুর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
কৃষকরা যখন হাসি মুখে তাদের উৎপাদিত ফসল লাগনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই সারা দেশের ন্যায় মুন্সিগঞ্জেও গত শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হানা দেয়।
যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন কয়ে বলে আসেনা তবুও প্রতিনিয়ত প্রতি বছরই ছাড় পাচ্ছেন না মুন্সিগঞ্জের আলুসহ অন্যান্য চাষীরা।
প্রতি বছরই ঝড় বৃষ্টির আতঙ্কের পাশাপাশি লাভের আশার কৃষকরা চাষাবাদ করে গোল আলু। এবারের আবহাওয়া বাম্পার ফলন উৎপাদন উপযোগী হওয়ায় আলু চাষীরা বেশ স্বস্তিতে ছিলেন।
আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা জমির পানি অপসারণ করছেন। এ চিত্র ছিল সর্বত্র। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলনও আশা করছিলেন তারা।
কিন্তু বৃষ্টি তাদের সর্বনাশ ডেকে আনল।
এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার বায়হাল সহ আশেপাশের এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, গত কয়েক বছর আলু চাষ করে অনেক লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। এবার বাম্পার ফলন দেখে বেশ খুশিতেই ছিলেন।
কিন্তু অগ্রহায়ণের এই দুর্যোগে হতাশ তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর আলুর আবাদ বেশি হয়েছে। জেলায় গত বৎসর ৮ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। আলুর ফলনও হয়েছে বাম্পার।
কিন্তু এ বৎসর গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে এবার কৃষকরা ক্ষতির শিকার হলেন। এমন হতাশা মুন্সিগঞ্জের অসংখ্য কৃষকের মধ্যে। প্রতিনিয়ত এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসায় লোকসানের ভয়ে এখন অনেক কৃষক চাষাবাদ থেকে সরে আসছেন।