মুন্সিগঞ্জ, ৩১ অক্টোবর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
স্যাঁতসেঁতে, আর্দ ও দুর্গন্তযুক্ত পরিবেশে তৈরি হচ্ছে স্বনামধন্য বাবা ভান্ডারি সুইটমিটের মিষ্টি। বেশ কয়েকবছর ধরেই বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় পণ্য তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। জেলা সদরের সিপাহীপাড়া চৌরাস্তাসহ আরও কয়েকটি জায়গায় একাধিক দোকান রয়েছে তাদের।
মিষ্টি তৈরির কারখানায় নেই কোন নিয়ম-নীতি। শ্রমিকদেরও ছিলো না কোন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। মিষ্টি বানানোর কক্ষে দেখা গেল বাসি ও খাবার অনুপযোগী চিনির সিরা। কোনরকম পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা নেই কারখানাটিতে। উন্মুক্তস্থানেই ফেলা হচ্ছে মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত নষ্ট ছানার পানি ও বিভিন্ন দ্রব্যদি। এতে আশেপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
এছাড়া এই ধরনের কারখানাগুলোতে কাঠের পরিবর্তে গ্যাসের চুলা ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও সেটিও মানা হচ্ছেনা এখানে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাবা ভান্ডারি সুইটমিটের কর্ণধার আব্বাস ভান্ডারি বলেন, আমাদের মত সুন্দর কারখানা আর কোথাও নেই। আমরা সব নিয়ম মেনে চলি।
স্থানীয়রা জানান, এই এলাকাটিতে দীর্ঘদিন ধরেই কারখানাটি রয়েছে। তারা কোন নিয়ম মানে না। তাদের ফ্যাক্টরি থেকে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ বের হয়ে টেকা যায় না।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সিগঞ্জের সহকারি পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটিকে আগেও একবার জরিমানা করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও অভিযোগ পাচ্ছি।
জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জুয়েল মিয়া ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, আমরা নিয়মিত এসব বিষয়ে মনিটরিং করি। প্রতিষ্ঠানগুলোকে বোঝাই তারা যাতে বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলে। কাঠের পরিবর্তে গ্যাস ব্যবহার এবং কারখানার শ্রমিকদের মাথায় সার্জিকাল ক্যাপ ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে।