মুন্সিগঞ্জ, ৪ এপ্রিল ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া (৪৭) হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরও ৩ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সবশেষ গতকাল সোমবার বিকাল ৩টা’র দিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ফয়সাল আহমেদ রাহাত ওরফে আরাফাত (২৬) মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালত-২ রহিমা আক্তারের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া রিমান্ডে থাকা অপর দুই আসামি মুন্না ও আনোয়ার গেল শনিবার একই আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক জামাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। গত ২৯ মার্চ বরিশাল সদরের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মুন্সিগঞ্জ ডিবির ওসি আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, ডিবি পুলিশের সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামী আরাফাতকে পরদিন ৩০ মার্চ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এতে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গতকাল দুপুর ২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ আদালতে আসামী আরাফাত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
ডিবির ওসি আরও জানান, স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী আলিফকে এখনও ধরা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে হত্যাকান্ডের আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয় আসবে।
অন্যদিকে, গেলো ২৬ মার্চ ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশ সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ থেকে স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩ আসামি মিল্লাত হোসেন মুন্না (১৯), মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও এহসান ওরফে মেঘকে (২৩) গ্রেপ্তার করে। পরদিন ২৭ মার্চ মুন্সিগঞ্জ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে তৃতীয় লিঙ্গের মেঘ। এছাড়া মুন্না ও আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকার তেঁজগাঁও থানার ডমিসাইল এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করতেন স্থপতি ইমতিয়াজ। গত ৭ মার্চ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরদিন ৮ মার্চ ঢাকার কলাবাগার থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন ইমতিয়াজের স্ত্রী। একই দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের কামারকান্দা গ্রামের সেতুর পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে পৌর কবরস্থানে স্থপতির লাশ দাফন করা হয় এবং সিরাজদিখান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে স্বজনরা খোঁজখবর নিয়ে লাশটি স্থপতি ইমতিয়াজের দাবি করলে আদালতের অনুমতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হলে পরিবার নিশ্চিত করে লাশটি নিখোঁজ স্থপতি ইমতিয়াজের।