১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৩:১৭
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
সৌদি আরবে ইসলাম নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
খবরটি শেয়ার করুন:

‘যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে নয়, বরং এটা ভালো ও মন্দের মধ্যে যুদ্ধ’- ইসলামবিষয়ক এক বক্তৃতায় এভাবেই বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওই বক্তৃতা দেন তিনি।

বক্তৃতায় ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধটা বিভিন্ন বিশ্বাস, দল বা সভ্যতার মধ্যে নয়। এটা ওইসব নিষ্ঠুর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুদ্ধ, যারা মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। এ ছাড়া তাদের রক্ষা করতে যাওয়া মানুষদের জীবনও কেড়ে নেয়, তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন।’

ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মুসলিমরাই সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া ইসলামকে বিশ্বের অন্যতম মহান একটি বিশ্বাস বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ইসলামী চরমপন্থীরা ‘শয়তানের সৈনিক’ এবং ইসলামে তাদের কোনো বৈধতা নেই। তাদের এই কার্যকলাপের মাধ্যমে ইসলামী মতাদর্শ থেকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর ধ্যান-ধারণা যে অনেক আলাদা তা বোঝা যায়।

বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সন্ত্রাস দমনে মুসলিম দেশগুলোকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘তাদের বের করে দিন। সন্ত্রাসীদের বের করে দিন। চরমপন্থীদের বের করে দিন। আপনাদের প্রার্থনাস্থল থেকে তাদের বের করে দিন। আপনাদের সম্প্রদায় থেকে তাদের বের করে দিন। আপনাদের পবিত্র ভূমি, এমনকি পৃথিবী থেকে তাদের বের করে দিন।’

সন্ত্রাসবাদের শিকার সম্প্রদায়ের মধ্যে ৯৫ শতাংশেরও বেশি মুসলিম বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তাদের জন্য, তাদের দেশের জন্য, তাদের সন্তানদের জন্য কেমন ভবিষ্যৎ চায় তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাদের ‘আমেরিকান শক্তির’ অপেক্ষা করে থাকলে হবে না।

ট্রাম্পের ওই বক্তৃতার সময় উপস্থিত ছিলেন ৫৫টি মুসলিমপ্রধান দেশের কর্তাব্যক্তিরা। তাদের মাধ্যমে বক্তৃতার মূল কথাগুলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ১৬০ কোটি মুসলিমের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ওই বক্তৃতা মুসলিমদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষ কমাতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

error: দুঃখিত!