অবৈধ! পথ বৈধ
সুমন ইসলাম
কবি আছেন। তার বর্ণিল ভাংচুর অবসর। কবি দেখছেন, মাঝখানের শুণ্যতা।
শুনছিলেন পাখিদের কলোরব। তারার অগ্রহায়ণ। তারপর লিপিকার খোঁজে ছিলেন।
কিছুক্ষন পরে প্রিন্স আওলাদ নদীর বাঁক কেটে গেলো। কুয়াশার ঢেউ পরেছিলো তখন অরণ্য মনিরের বুকে। সে বলেছিলো, সকাল দেখেনা অনেকদিন!
কবির মুখ ফোঁটলো- দ্যাখ! শহর রক্ষাবাঁধে বসে আছে যে তরুণেরা, তাদের মেধা যায় খসে ফ্রি ফায়ার গেইমে হুরুস্তোর।তরুণদের ভোরসকাল কোথায়? জীবনানন্দ দাস কী সাইকো?..
মাটির কাপ ক্যাফে বসলে চোঁখে সচ্ছলতা ফোঁটে-বুকে অভাব নেই। পাশের টেবিলে গল্প করছে বনলতা সেন!
তারপর মিশুক অট্রোরিক্স্রার মতো যান্ত্রিক দুজন। চালক বলছেন-ভাই,মহাজনকে চারশত টাকা দেই। তারপর সংসার চলে না! চালককে বললাম,রাস্তায় মিশুক-অট্রোরিক্স্রাটা কিভাবে চালাচ্ছো? হাসতে হাসতে চালক বললো, অবৈধ! পথ বৈধ।
দারুণ মনে পড়ছে গৌতম সাহা! তোমাদের শহরে শীত নামলে অসাধারণ হয়ে উঠে বাতিগুলো। আমার পিতার শুভাকাঙ্খিরা তারপরেও জটিল ইবলিশ।
জনগণের উত্তাপ চোঁখ একদিন আকাশ ভিঁজিয়ে দেবে। তোমার অশ্রুকে সেদিন করা হবে প্রতিরোধ।ইটশিল্পের যত প্রতিকৃতি এতটুকুই রক্ষা করবো আমরা।
-সুমন ইসলাম, সম্পাদক- পটভূমি’ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক পত্রিকা, মুন্সিগঞ্জ।