২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | দুপুর ১২:০৩
সুবিধা করতে পারলেন না তোতা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)

শুরু থেকে আলোচনায় থেকেও শেষ মুুহুর্তে সুবিধা করতে পারেননি রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তার অনুসারী সাধারণ নেতাকর্মীরা। প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কেউ মুখ না খুললেও এ নিয়ে কানাঘুষা চলছে রাজনৈতিক মাঠ থেকে শুরু করে চায়ের দোকানেও।

আজ শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তা ও উত্তেজনার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয় গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে সভাপতি পদে হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা। তবে শেষ মুহুর্তে তিনি সুবিধা করতে না পেরে সহ সভাপতি পদ বেছে নিয়েছেন।

সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে আমিরুল ইসলামের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন তোতা। এরপর থেকেই তার লক্ষ্য ছিলো উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার। কিন্তু আমিরুল ইসলাম এই শীর্ষ পদের ব্যাপারে কোনরকম ছাড় দিতে না চাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমিরুলের কাছে রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন তোতা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নবমনোনীত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের অনুসারি হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে সাবেক চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারি হিসেবে পরিচিত।

সম্মেলন ঘিরে দিনভর স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে স্নায়ু উত্তেজনা ছিলো। উত্তাপ ছড়িয়েছে অতিথিদের বক্তব্যেও। বিশেষ করে অনুষ্ঠানের বিশেষ বক্তা মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লব ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনিছুজ্জামান স্থানীয় সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসকে উদ্দেশ্য করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। মৃণাল কান্তি দাসও তার বক্তব্যে ‘অনেকের কথা পছন্দ হয়নি’ উল্লেখ করেন। তবে, শেষ পর্যন্ত কোনরকমের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন শেষ হয়। সম্মেলনে ৫-৭ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

শনিবার সকাল ১০টা’য় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। সন্ধ্যায় গজারিয়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর নাম ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান ‘আমার বিক্রমপুর’ কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলের জন্য ৩৩৪জন ভোটার প্রস্তুত ছিলেন। তবে শেষ মুহুর্তে যে ৫ জন প্রার্থী ছিলেন তাদের সকলের সম্মতিতে সমঝোতার ভিত্তিতে ৫সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্যরা হলেন, সিনিয়র সহ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মো. আলী খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক টিটু।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লব।

error: দুঃখিত!