১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | রাত ১:৪৯
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
সিরাজদিখানে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুট, থানায় অভিযোগ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, মালামাল লুট ও জমি দখলের চেস্টা অভিযোগ উঠেছে একটি পক্ষের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগি হাসান বেপারী (৭৫) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া (নয়াবাড়ি) গ্রামে।

সরেজমিনে জানা যায়, শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে নয়াবাড়ি হাসান বেপারীর বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও জমি দখলের চেস্টা করেছে তারই ভাতিজা সুমন বেপারী (৩৫)। এ ঘটনায় সেদিন থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সুমন বেপারী ১৫/১৬ জন লোক নিয়ে তার চাচার একটি টিনের ঘর ভেঙে খুটিসহ উঠিয়ে ফেলেছে। হাসান বেপারীর ছেলেরা বিদেশে থাকে। বাড়িতে শুধু তিনি আর মহিলা ও বাচ্চারা থাকে। মহিলারা কি করবে, তারা বাধা দিতে গিয়ে মারধর খায়। সুমনের লোকজন বেশি, তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে সমস্যা পরবে।
হাসান বেপারী জানান, আমার ভাই করিম বোপরী মারা গেছে। বাড়ি ভাগ বাটোয়ারা হয় নাই। মৌখিক ভাগ বাটোয়ারায় যার যার সাইটে ঘর গাছ গাছালি লাগিয়ে ভোগ দখলে আছি। কখনো সমস্যা হয় নাই, গত ৭/৮ মাস ধরে ভাতিজা সুমন নানা ভাবে যন্ত্রণা করছে। স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বিচার মিমাংশা করা হয়েছে। কিন্তু পরে তা আর মানে না সে। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় থানায় তাকে ডেকেছে, সেখানেও সে যায় না। এখন ভাঙচুর করায় থানায় অভিযোগ করেছি।

হাসান বেপারীর পুত্রবধূ লাভলী জানান, আমাদের বড় টিনের ঘরটা ভেঙে, টিন কাঠ লুট করে নিয়ে গেছে সুমন ও তার লোকজনা। আমি মোবাইলে ভিডিও করি তখন আমাকে লাঠি দিয়ে সুমন বাড়ি দেয়। আমার ভাগনিকে চুলে ধরে টেনে তারিয়ে দেয় সুমনের বোন। আমরা মহিলা ও বাচ্চাদের নিয়ে বাড়িতে থাকি, পুরুষরা বিদেশে তাই ভয় ও আতঙ্ককের মধ্যে বসবাস করতেছি। ফারুক মেম্বার ২ মাস সময় নিয়েছিলেন মিমাংশা করে দিবেন। কিন্তু ঘটনার আগের দিন মেম্বারকে নিয়ে সুমনকে নিয়ে জায়গা মাপে। আমরা জিজ্ঞেস করলে মেম্বার বলে এমনিতেই দেখতেছি। পরদিন শুক্রবার সুমন ১৫/১৬ জন লোক নিয়ে ঘর ভাঙ্গে। তারপর মেম্বার আর কোন খোঁজ-খবর আমাদের নেয় নাই।

সুমন বেপারীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ৩০ মিনিট পর ফোন দিন। এরপর আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তার বাড়িতে গিয়ে গেটে তালা দেখা যায়। বাড়িতে কেউ নেই।

মধ্যপাড়া ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন জানান, সুমন জায়গায় খুটি দেখতে ডাক দিয়েছিলো আমাকে, তাই আমি গিয়েছিলাম। পরদিনের ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমাকে দুই পক্ষের কেউ ডাকেনি, তারা সরাসরি থানায় চলে গেছে।

সিরাজদিখান থানার সহকারি উপ পরিদর্শক শেখ রাজু বলেন, থানায় অভিযোগ হয়েছে, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওসি স্যারের নির্দের্শে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন উপ পরিদর্শক ইমরান হোসেন খান।

error: দুঃখিত!