মুন্সিগঞ্জ, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে গত (২ ডিসেম্বর) বুধবার বিকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের চরকমলাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন, চরকমলাপূর গ্রামের ফারুকের স্ত্রী লাবনী, রসুল খানের স্ত্রী মাবিয়া, ইউসুফ খানের স্ত্রী আয়শা বেগম, মৃত লতিফ খানের ছেলে ইউসুফ খান, ইউসুফ খানের ছেলে আসিফ এবং একই গ্রামের জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুমা বেগম, মো.বাবুলের ছেলে নাঈম, জামাল বেপারীর ছেলে সাইফুল, হাবিবুল্লাহ চোকদারের ছেলে রবিন, ও জাহাঙ্গীরের মেয়ে হাবিবা।
এ ঘটনায় এক পক্ষ প্রতিপক্ষের ১৭ জনকে বিবাদী করে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ও বাদল নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে অনুমান পৌনে ৫ টার দিকে চরকমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী রুমাকে বাড়ীর নিচে পারিবারিক কলহের কারণে মারধর করতে দেখে। তার প্রতিবেশী মৃত রসুল খানের স্ত্রী মাবিয়া বেগম এগিয়ে গিয়ে স্বামীর মারধরের হাত থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে জাহাঙ্গীরের হাতের সাথে স্বজোরে ধাক্কা লেগে মাটিতে পরে গেলে মাবিয়া বেগমের একটি হাত ভেঙে যায়। পরে তাকে বাড়ীর আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। শ্বাশুড়ি আহত হওয়ার খবর শুনে মেয়ের জামাই বালুরচর গ্রামের বাসিন্দা
ফারুক প্রতিপক্ষের লোকজনকে দোষী করে ওইদিন রাত অনুমান ৮ টার দিকে লোকজন নিয়ে তাদের বাড়ীতে গিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিলে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। পরে এলাকার লোকজন আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে একপক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের ১৭ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত বাদল ও জাহাঙ্গীর নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয়রা আরো জানায়, বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই শত্রুতা চলে আসছিলো। এর আগে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন।
ভুক্তভোগী ইউসুফ খান বলেন, জামাই বৌ এর মারামারি থামাতে গেলে আমার চাচি মাবিয়া বেগমকে আছার মেরে হাত ভেঙে দেয় জাহাঙ্গীর। এরপর তার মেয়ে জামাই তাদের বাড়ীতে গিয়ে শ্বাশুড়িকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে তারা তাকে মারধর করলে তাদের সাথে আমাদের মারামারি হয়। আমরা তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।
প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া তারা জানান, মারামারি থামাতে আসলে জাহাঙ্গীরের হাতের সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে গিয়ে মাবিয়া বেগমের হাত ভেঙে যায়। একজন বৃদ্ধ মহিলাকে শুধু শুধু কেন জাহাঙ্গীর মারতে যাবে আপনিই বলেন!
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার এস আই মীর শহীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা দুইজনকে আটক করেছি। মামলা তদন্তাধীন। বাকী আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।