কবি,প্রকাশক ও প্রথাবিরোধী লেখক শাহজাহান বাচ্চুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সিরাজদিখানে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
এদিন বাচ্চুর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ এবং স্মরণসভায় স্মৃতি চারণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১১জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজদিখান উপজেলার পূর্ব কাকালদী তিন রাস্তা মোড়ে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শাহজাহান বাচ্চুর প্রথম স্ত্রী লুৎফা আক্তার কাকনের সভাপতিত্বে ও কবি মুজিব রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অংশ নেন লেখক শুমন্ত রায়, কবি শান্ত মোগন্ত, শেখ ইকবাল হোসেন বাবুল, সাংবাদিক সুব্রত দাস রনক, মোঃ জামাল উদ্দিন খান, মিরাজ হোসেন শেখ, রমজান মৃধা, নাসির উদ্দিন নাসু, রূপন্ত ইসলাম, নারী নেত্রী শেফালী বেগম, শহিদুল ইসলাম, ফারুক শেখ ও আনিসুর রহমান প্রমুখ।
স্মরণসভা শেষে নিহত ‘শাহজানান বাচ্চু মুক্তচিন্তা পরিষদ’ নামে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি সংগঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে নিহত বাচ্চুর প্রথম স্ত্রী লুৎফা আক্তার কাকনকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে কবি মুজিব রহমানকে।
২০১৮ সালের ১১ জুন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কাকালদী তিন রাস্তার মোড়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল শাহজাহান বাচ্চুকে। এই মামলার একজন আসামি এখনো পলাতক আছে।
হত্যাকান্ডের পরদিন শাহজাহান বাচ্চুর দ্বিতীয় স্ত্রী আফসানা বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রথম স্ত্রী লুৎফা আক্তার কাকন জানান, যতটুকু শুনেছি তিনজন আসামি নিহত হওয়ার পর মামলাটি ক্লোজড করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, শাহজাহান বাচ্চু (৬৫) হত্যার এক বছর ছিল মঙ্গলবার। বাচ্চু হত্যা মামলার আসামি ও জঙ্গী সংগঠনের তিন সদস্য বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
মুন্সিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি ও মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন জানান, দুই মাস আগে মামলাটির ‘ফাইনাল রিপোর্ট’ আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর হেদায়েত ইসলাম ভূঁইয়া জানান, শাহজাহান বাচ্চুু হত্যার ফাইনাল রিপোর্ট কিংবা চার্জশীট কোনটিই এখনও আদালতে জমা হয়নি।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, ২ মাস আগে মামলাটির চার্জশীট জমা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, শাহজাহান বাচ্চুু বন্ধ হয়ে যাওয়া বিশাকা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ছিলেন ও মুন্সিগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি ‘আমাদের বিক্রমপুর’ নামের একটি অনিয়মিত মাসিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন।
তিনি বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন। শাহজাহান বাচ্চু বিভিন্ন ব্লগ ও ফেসবুক গ্রুপে লেখালেখি করতেন। এছাড়াও তিনি ৯০ দশকের একজন প্রকাশক যিনি শুধু কবিতার বই প্রকাশ করতেন।