মুন্সিগঞ্জ ৫ নভেম্বর, ২০১৯, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাপুরা (চালতাতলা) গ্রামে অবস্থিত এম.জে হলিডে রিসোর্টে নিয়ে এক গৃহবধূ (২৭) কে পালাক্রমে ধর্ষনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুস সবুর খাঁন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২/৩ দিন আগে চার্জশীট দাখিল করেছি। এ বিষয়ে যদি কিছু জানার থাকে তাহলে কোর্ট থেকে জেনে নিন বলে মামলার বিষয়ে কোন তথ্য দিতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা ঋণ উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূ (২৭) কে গত ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে এম.জে হলিডে রিসোর্টে নিয়ে যায় ধর্ষক জয়নাল আবেদীন ও দিদার হোসেন।
পরে রিসোর্টের কর্মরত ক্যাশিয়ার/ম্যানেজার আবু হাসান ওরফে লিমনের সহযোগীতায় জয়নাল আবেদীন ওই গৃহবধূকে রিসোর্টের একটি কক্ষে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধীকবার ধর্ষন করে। রিসোর্ট থেকে বাসায় ফিরে ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে ঘটনার বিষয়ে বলে।
এরপর গত ৭ সেপ্টেম্বর সিরাজদিখান থানায় ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে।
মামলার প্রেক্ষিতে একই তারিখ দিবাগত রাতে সিরাজদিখান থানা পুলিশ ওই রিসোর্টে অভিযান পরিচালনা করে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বণিক্যপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে মোঃ জয়নাল আবেদীন (৪০) একই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মোঃ দিদার হোসেন (৩৩) ও এম.জে হলিডে রিসোর্টের ক্যাশিয়ার/ম্যানেজার সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার রবিউল ইসলামের ছেলে আবু হাসান লিমন (৩২) দেরসহ রিসোর্টে বিভিন্ন কক্ষে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা নারী পুরুষ ১৭জনকে আটক করা হয়। এ সময় যৌন উত্তেজক জিনিসপত্র ও বেশ কিছু কনডম উদ্ধার করে পুলিশ।
সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিনাত ফৌজিয়া ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৭ জন নারী-পুরুষকে জেল জরিমানা করেন এবং একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। অপরদিকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ওই রিসোর্টটি সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিনাত ফৌজিয়া।
এদিকে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন ভিন্ন কথা, তারা বলছেন তাদের রিসোর্টে কোন ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি! এমনকি তারা তাদের রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপ চলার কথাও অস্বীকার করেন।
সূত্র জানায়, বর্তমানে ওই রিসোর্টটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। রিসোর্টটি পুনরায় চালু হওয়ায় সুশীল সমাজের লোকজনদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।