৮ নভেম্বর রবিবার বেলা ১টায় সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তাহার কার্যালয়ে স্মারক লিপি পেশ করেন উপজেলার রাজানগর, নয়ানগর ও আশেপাশের এলাকার জনগণ ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন, নয়ানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, রাজানগর ইউপির ৪-৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রহিমা বেগম. উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রাকিব মাহমুদ , উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক চঞ্চল চোধুরী, মহসিন মোল্লা যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ অসংখ্য জন সাধারন ।
জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের আমির মোল্লার পুত্র ইমন মোল্লাকে একই গ্রামের জামিল নামের এক সন্ত্রাসী ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর ২৯ সেপ্টেম্বর ইমন মোল্লার লাশ পাওয়া যায় ।লাশটির ঘাড় মটকানো ও জিহ্বা কাটা অবস্থায় পাওযা যায়। ইমন কে ডেকে নেওয়ার পর জামিল ও তার সহযোগীরা গা ঢাকা দেয়। আসমীরা হল জামিল, রাসেল, শান্ত, রানা, ফেরদৌস।
এ ব্যাপারে উক্ত এলাকার ৮টি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় ৭০০০ জনতা বিক্ষোভ মিছিল করেন ।
এ ঘটনায় নিহত ইমনের পিতা বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার ২৮/২৯১ তাং-২৯/১০/১৫ইং ধারা-৩০২/২০১/৩৪ । মামলার পর ২ জন সহযোগী ধরা পড়িলেও মূল আসামীরা ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়ে গেল। তাদের ধরতে পুলিশের উদাসীনতা রয়েছে কিছুটা নাটকীয়তাও রয়েছে । এখানে পুলিশ কিছুটা ঘোলা পানিতে মাছ শিকাড় করতে চাচ্ছে বলে সূত্র জানায় ।
সূত্র আরও জানায় অদৃশ্য কোন শক্তির ইশারায় পুলিশ তাদের ধরতে পায়তারা করছে যারা এ মামলাটা নিয়ে এদিক সেদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে ।
নিহতের পিতা ও এলাকার জনসাধারন হুঙ্কার দিয়ে বলেন এ ব্যপারে কোন প্রকার জালিযাতি হলে এবং আসামীরা ৭ দিনের মধ্যে ধরা না পড়লে আমরা মাঠে নেমে পড়ব।
উক্ত স্মারক লিপিটি গ্রহণকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমি আগামীকালই জেলা মহোদয়ের বরাবরে প্রেরণ করব যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য । তিনি কান্নারত নিহত ইমনের পিতাকে সান্তনা দিয়ে বলেন, যারা ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ইমনকে হত্যা করেছে তাদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না ।
এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সর্বাত্নক সহযোগীতা কামনা করছে।