মুন্সিগঞ্জ, ২ মার্চ, ২০২১, জাহাঙ্গীর আলম চমক (আমার বিক্রমপুর)
ঋতুরাজ বসন্তে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানে আমের মুকুল জানান দিচ্ছে মধু মাসের আাগমনী বার্তা।
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। আর ঋতুর রাজা বসন্ত। ফাল্গুনের শুরুর দিকে ফলের রাজা আমের মুকুল ফুটেছে গাছে গাছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে সর্বত্র আম গাছ গুলো তার মুকুল নিয়ে হলুদ রং ধারন করে রেখেছে। আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছের প্রতিটি ডাল। সৌন্দর্য ভরে উঠেছে প্রকৃতির।
পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সু-মধুর ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল।
স্থানীয়রা জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারনে বসন্তের আগেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ফালগুন আসার সাথে সাথে প্রতিটি গাছে পুরোপুরি ভাবে মুকুল ফুটেছে।
আমবাগানি আ. রহমান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাগানে লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে।
সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. মোশারফ হোসেন বলেন, এই উপজেলায় বানিজ্যিক ফলের বাগান খুব কম। মূলত বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে বাড়ীর আশপাশেই ফল গাছ রোপন করে থাকে। এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকার কারণে আমের মুকুল অনেক বেরে হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া তিনি আরো জানান, কমপক্ষে ৩বার স্প্রে করলে, যেমন মুকুল বের হওয়ার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে একবার প্রবাহমান ছত্রাক নাশক ও ফলের আকার মটর দানার মত বলে ছত্রাক এবং কীটনাশক স্প্রে একবার এবং ফল পাকার পূর্বে কীটনাশক স্প্রে করলে এবার আমের ভাল ফলন হবে বলে আশা করেন তিনি।