বাংলাদেশে প্রবেশে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পাঁচ পাকিস্তানি সাফাই সাক্ষীর ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা যাকে নিয়মিত ভিসা ছাড়া অন অ্যারাইভাল ভিসায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আর আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘এটা আমাদের কনসার্ন নয়।’
পাকিস্তানের দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) জানায়, সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের রিভিউ শুনানিতে যে পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিকের সাফাই সাক্ষ্য শোনার আবেদন করা হয়েছে তাদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়, “পাঁচ পাকিস্তানির বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভিবাসন পুলিশ’-এর কাছে একটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তাদের নাম ও ছবি জমা দিয়ে কালোতালিকাভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।”
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাকা চৌধুরীর পাকিস্তানি সাক্ষীদের ওপর বাংলাদেশে প্রবেশে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। তবে পাকিস্তান, নাইজেরিয়াসহ বেশ কিছু দেশের নাগরিক যাতে নিয়মিত ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দরসহ ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন অ্যারাইভাল ভিসায় ওইসব দেশের নাগরিকরা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘গত সপ্তাহে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে তা কার্যকর হয়েছে। এইসব দেশের নাগরিকরা অ্যারাইভাল ভিসায় বাংলাদেশে ঢুকে নানা ঝামেলার সৃষ্টি করে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সাকার পাকিস্তানি সাক্ষীরা বাংলাদেশে আসতে চায় এমন কোনও আবেদন বা তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই।
অন্যদিকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানান, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের কাছে সাকার সাক্ষীদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে কোনও তথ্য নেই। এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। এটা আমাদের কনসার্ন নয়।’
প্রসঙ্গত, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানিতে পাঁচ পাকিস্তানিসহ আটজনের সাফাই সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করা হয় গত ১৯ অক্টোবর। পাঁচ পাকিস্তানি ছাড়া এক মার্কিন নাগরিক এবং দুই বাংলাদেশির সাক্ষ্য আমলে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। সাকা চৌধুরী ১৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ পিটিশনের শুনানির জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন