মুন্সিগঞ্জ, ২৯ অক্টোবর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
শুক্রবার দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালিশি বৈঠক শেষে মুন্সিগঞ্জ সদরের ধলাগাঁও গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ৪ জন আহতের ঘটনা ঘটে। জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ-মীমাংসায় বসে পক্ষ দুইটি। পরে সেখানে আগামী ৩ ডিসেম্বর রায় প্রদানের দিন ধার্য করা হয়। দুই পক্ষই রায় মেনে নিয়ে বাসায় ফিরে গেলেও জুমার নামাযের পর তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে জাতীয় হেল্পলাইন নাম্বার ৯৯৯-এ কল করা হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে প্রথমে হট্টগোল ও হাতাহাতি হয় দুই পক্ষের মধ্যে।
এসময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে আমার বিক্রমপুরের সাংবাদিক শিহাব আহমেদের মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন জুয়েল পক্ষের ধলাগাও ফকিরবাড়ি এলাকার লিটন খানের স্ত্রী যুব মহিলা লীগ নেত্রী পরিচয়দানকারি জনৈক অর্চি বেগম। সাংবাদিক দেখেই তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
সাংবাদিক শিহাব আহমেদ জানান, হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে দুই পক্ষের লোকজন তর্কে জড়ালে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এসময় পেশাগত দায়িত্বপালনকালে যুব মহিলা লীগ নেত্রী পরিচয় দিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন অর্চি বেগম।
পরে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি পুনরায় মোবাইল ছিনিয়ে নেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে মোবাইল ফেরৎ দিয়ে তার ভাই স্বপন ও অপর সহযোগিদের নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অর্চি বেগম বলেন, আমরা দুই পক্ষ তর্কবিতর্কে জড়ালে সাংবাদিক ভিডিও ধারণ করছিলেন। তাই তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছি। যুব মহিলা লীগে তার কোন পদ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান বলেন, সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা দেয়ার ঘটনা ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।