মুন্সিগঞ্জ, ১৬ মার্চ, ২০২১, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মদের কাছে পৌঁছানো এবং জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখা। সহযোগী সংগঠন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলে সংগঠনটির মূল কার্যক্রম শুরু হবে। এখন জেলা পর্যায়ে সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছে তারা। প্রায় এক বছর ধরে জেলায় আত্নপ্রকাশ ঘটলেও এ কমিটির মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কর্মকাণ্ড নেই। জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও এ পর্যন্ত কোন কর্মকাণ্ড করতে পারেনি তারা।
তবে সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে পরিকল্পনার কথা শোনালেন তারা। তাদের দাবি, খুব শীঘ্রই অসহায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কর্মকাণ্ড শুরু হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হলে তারা এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন।
গতকাল সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১ টায় মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের শফিউদ্দিন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির সভাপতি জাহানুর রহমান সওদাগর জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অনুমোদন পেয়ে এক বছর ধরে জেলা পর্যায়ে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হলে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ’ নামের সংগঠনটি শক্তিশালী হবে তখন পুরোদমে কাজ চলবে।
তাদের উল্লেখযোগ্য একটি কাজ হলো করোনাকালীন সময়ে মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আর্থিক সহায়তা। মুক্তিযোদ্ধারা থাকবে না তখন তাদের ইতিহাসকে রক্ষা করা হবে। বিগত সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষার কাজটি করেনি। এখন থেকেই সংগঠনটিকে গুছিয়ে নেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে জানিয়েছে চলতি মাসের ৩০ মার্চ সহযোগী সংগঠনের অন্তভুক্ত হতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির জেলা সভাপতি জাহানুর রহমান সওদাগর একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ ২১ বছরে পদার্পণ করেছে। যেখানে দাবী করা হয়, ২০০১ সালের ৩০ মে বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ প্লাজায় চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার তথাকথিত হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে শেখ হাসিনার সঠিক নির্দেশনা প্রদাণ করেন গোপালগঞ্জের চন্দ্র দীঘলীয়ার সন্তান আহম্মেদ সাইফুল রহমান খান। যিনি সংগঠনটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহিজ উদ্দিন মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শ্যামল, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সোহেল বেপারি, প্রচার সম্পাদক জিয়াউর রহমান মৃধা, টংগিবাড়ী উপজেলার মহিলা সম্পাদক সুবর্ণা আক্তার প্রমুখ।